পরিচ্ছেদঃ ১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৬৫-[২৪] আবূ উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আলী (রাঃ)-কে একটি গোলাম দান করে বললেন, একে প্রহার করো না। কেননা, আল্লাহ আমাকে সালাত আদায়কারীকে প্রহার করতে নিষেধ করেছেন, আর আমি তাকে সালাত আদায় করতে দেখেছি। (এটা মাসাবীহ-এর বাক্য)[1]
وَعَنْ أَبِي أُمَامَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم وَهَبَ لِعَلِيٍّ غُلَامًا فَقَالَ: «لَا تَضْرِبْهُ فَإِنِّي نُهِيتُ عَنْ ضَرْبِ أَهْلِ الصَّلَاةِ وَقَدْ رَأَيْتُهُ يُصَلِّي» . هَذَا لفظ المصابيح
ব্যাখ্যা: (فَإِنِّىْ نُهِيتُ) ‘আমাকে নিষেধ করা হয়েছে।’ অর্থাৎ আমার প্রতিপালক আমাকে সালাত আদায়কারী দাসকে মারতে নিষেধ করেছেন।
সালাত আদায়কারী গোলামকে প্রহার নিষেধ অর্থাৎ শারী‘আত হাদ্দ তথা দণ্ডবিধি জাতীয় কোনো অপরাধ ছাড়া অন্য কোনো সাধারণ অপরাধের কারণে প্রহার নিষেধ। তবে সে যদি এমন কোনো দোষ করে যার কারণে তার ওপর শারী‘আত দণ্ডের শাস্তি অনিবার্য হয় তবে তা প্রয়োগ করতে হবে।
(وَقَدْ رَأَيْتُه يُصَلِّىْ) অর্থাৎ আর আমি তাকে সালাত আদায় করতে দেখেছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথার উদ্দেশ্য এই হতে পারে যে, শিষ্টাচারের জন্য এমন গোলামকে প্রহার করার প্রয়োজন হবে না; কেননা সে সালাত আদায়ের মাধ্যমে তার প্রকৃত মালিকের সাথে করণীয় দাসত্বের শিষ্টাচার বজায় রাখছে, আর সালাত মানুষকে অশ্লীল ও আপত্তিকর কাজ থেকে বাধা প্রদান করে, অতএব তাকে আপত্তিকর কাজের জন্য প্রহারের প্রয়োজন হবে না। এছাড়া সে যখন তার প্রকৃত মালিকে হক আদায় করছে তখন অন্য কিছুতে ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়ে গেলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখা উচিত।
‘আল্লামা ত্বীবী বলেনঃ সালাত আদায়কারী সাধারণত এমন কোনো কাজ করে না যার দ্বারা সে প্রহৃত হওয়ার উপযুক্ত হয়; কেননা সালাত অশ্লীল ও আপত্তিকর কাজ থেকে বাধা প্রদান করে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)