পরিচ্ছেদঃ ১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার
৩৩৬১-[২০] আবূ আইয়ূব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি মা ও তার সন্তান-সন্ততির মাঝে বিচ্ছেদ ঘটায়, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামত দিবসে তার ও তার পরিবার-পরিজনদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটাবেন। (তিরমিযী ও দারিমী)[1]
وَعَن أبي أيوبَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ وَالِدَةٍ وَوَلَدِهَا فَرَّقَ اللَّهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَحِبَّتِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ والدارمي
ব্যাখ্যা: (مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ وَالِدَةٍ وَوَلَدِهَا) ‘‘যে ব্যক্তি মা ও তার সন্তানের মাঝে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করল...।’’ মা ও সন্তানের মাঝে বিচ্ছেদ, যেমন কারো দাসীর সঙ্গে তার মেয়ে রয়েছে, লোকটি মাকে রেখে মেয়েকে বিক্রি করে দিল অথবা কাউকে হাদিয়া হিসেবে দিয়ে দিল ইত্যাদি। অথবা মেয়েকে রেখে মাকে বিক্রি করে দিল। মোটকথা, যে কোনোভাবে মেয়েকে মার কাছ থেকে পৃথক করে দিল, তবে কিয়ামত দিবসে আল্লাহ তা‘আলা তার আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দিবেন। কিয়ামত দিবসে আল্লাহর অনুমতিতে অনেক সময় নিজের প্রিয় মানুষের সুপারিশ কাজে আসে। আবার দুনিয়ায় নিজের যে প্রিয় মানুষ রয়েছে তার সাথে জান্নাতে থাকলে মানুষ আনন্দবোধ করবে দেখে আল্লাহ এই ব্যবস্থাও করবেন। কিন্তু যে ব্যক্তি দুনিয়ায় আরেকজনের রক্ত সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটাবে কিয়ামত দিবসে সে নিজের প্রিয়জনের সুপারিশ পাওয়া বা প্রিয়জনের সাথে জান্নাতে থাকার আনন্দ হতে বঞ্চিত হবে।
‘আল্লামা মুনাবী বলেনঃ বেচাকেনা ইত্যাদির মাধ্যমে বিচ্ছেদ ঘটানো ইমাম শাফি‘ঈ-এর মতে সন্তান বুঝদার হওয়ার পূর্বে হারাম। সন্তানের মাঝে বুঝ ও ভালো-মন্দের পার্থক্য এসে গেলে মাকে রেখে সন্তান বা সন্তানকে রেখে মাকে বিক্রয় করা জায়িয। আর ইমাম আবূ হানীফাহ্-এর মতে সন্তানের বালেগ বা বালেগা হওয়ার পূর্বে এমন কাজ করা হারাম। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৫৬৬)