পরিচ্ছেদঃ ১৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - লি‘আন
৩৩২১-[১৮] উক্ত রাবী (’আমর ইবনু শু’আয়ব) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ চার শ্রেণীর রমণীর সাথে স্বামীর লি’আন গৃহীত হয় না- ১. মুসলিম পুরুষের নাসারা (খ্রিষ্টান) স্ত্রী, ২. মুসলিম পুরুষের ইয়াহূদী স্ত্রী, ৩. গোলাম স্বামীর স্বাধীনা স্ত্রী এবং ৪. স্বাধীনা পুরুষের বাঁদী স্ত্রী। (ইবনু মাজাহ)[1]
وَعَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: أَرْبَعٌ مِنَ النِّسَاءِ لَا مُلَاعَنَةَ بَيْنَهُنَّ: النَّصْرَانِيَّةُ تَحْتَ الْمُسْلِمِ وَالْيَهُودِيَّةُ تَحْتَ الْمُسْلِمِ وَالْحُرَّةُ تَحْتَ الْمَمْلُوكِ وَالْمَمْلُوكَةُ تَحْتَ الْحُرِّ . رَوَاهُ ابْنُ مَاجَه
ব্যাখ্যা: (أَرْبَعٌ مِنَ النِّسَاءِ لَا مُلَاعَنَةَ بَيْنَهُنَّ) স্ত্রীর স্বামী যিনার অভিযোগ তুললে এবং স্ত্রী তা অস্বীকার করলে শারী‘আত লি‘আনের বিধান রেখেছে। অধ্যায়ের শুরুতে আমরা এ সংক্রান্ত হাদীস দেখে এসেছি। এই হাদীসে যাদের মাঝে লি‘আনের বিধান কার্যকর হবে না তাদের একটি বিবরণ দেয়া হয়েছে। হাদীসে চার ধরনের নারীর বিবরণ দেয়া হয়েছে যাদের সাথে লি‘আন কার্যকর হবে না। যেমনঃ স্বামী মুসলিম স্ত্রী খ্রীষ্টান, স্বামী মুসলিম স্ত্রী ইয়াহূদ, স্বামী দাস স্ত্রী স্বাধীনা, স্ত্রী দাসী স্বামী স্বাধীন। এই চার প্রকারের মাঝে লি‘আনের বিধান নেই।
এ হাদীসের উপর ক্বিয়াস করে ফুকাহায়ে কিরাম আরো যাদের মাঝে লি‘আনের বিধান কার্যকর হবে না বলে মনে করেন তা হলোঃ স্বামী যদি পূর্বে কাউকে অপবাদ দেয়ার কারণে দণ্ডে দণ্ডিত হয়ে থাকে তবে তার কথা গ্রহণ করে লি‘আন কার্যকর করা যাবে না। তদ্রূপ স্ত্রী যদি অপবাদের দণ্ডে দণ্ডিত হয়ে থাকে তবে লি‘আন হবে না। এভাবে স্ত্রী না-বালেগাহ, পাগল, ব্যভিচারিণী হলে লি‘আন কার্যকর হবে না। মূলত লি‘আন একটি গুরুত্বপূর্ণ কসমের বিধান যার মাঝে স্বামী স্ত্রীর একের উপর অন্যের অভিযুক্ত করা রয়েছে; তাই একজনের কথা অন্যের উপর গ্রহণ করতে হলে মৌলিক মর্যাদায় সমান থাকা বাঞ্ছনীয়। এ কারণে হয়ত শারী‘আত এই শর্ত আরোপ করেছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)