হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
৩২৯৬

পরিচ্ছেদঃ ১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তিন তালাকপ্রাপ্তা রমণীর বর্ণনা

৩২৯৬-[২] ’আব্দুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হীলাকারী (২য় স্বামী) এবং যার জন্য হীলা করা হয় (তথা প্রথম স্বামীর), উভয়ের প্রতি অভিসম্পাত করেছেন। (দারিমী)[1]

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: لَعَنَ رسولُ الله المحلّلَ والمُحلَّلَ لَهُ. رَوَاهُ الدَّارمِيّ

ব্যাখ্যা: اَلْمُحَلِّلَ শব্দের প্রথম ‘লাম’ যের বিশিষ্ট। অর্থাৎ দ্বিতীয় স্বামী যে ত্বলাকের ইচ্ছায় বা তালাক দেয়ার শর্তে বিবাহ করেছে।

(وَالمُحلَّلَ لَه) এখানে প্রথম ‘লাম’ যবর বিশিষ্ট। অর্থাৎ প্রথম স্বামী যে তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছে।

কাযী বলেনঃ মুহাল্লিল হলো ঐ ব্যক্তি যে অন্যের তিন তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীকে এই উদ্দেশে বিবাহ করে যে, সহবাসের পর তাকে তালাক দিয়ে দিবে, যাতে করে তালাকদাতার জন্য বিবাহ বৈধ হয়ে যায়। সে যেন এই নারীকে বিবাহ এবং সহবাসের মাধ্যমে বৈধ করল। আর ‘মুহাল্লাল লাহূ’ হলো প্রথম স্বামী। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উভয়কে অভিশাপ দেয়ার কারণ হলো, এতে মানবতাবোধ নষ্ট করা হয়, আত্মমর্যাদার ঘাটতি এবং নিজ আত্মসম্মানের তুচ্ছতা এবং তা বিলিন হয়ে যাওয়ার প্রমাণ বহন করে। ‘মুহাল্লাল লাহূ’র দিক থেকে এই অপমানকর বিষয়টি প্রকাশ্য। আর ‘মুহাল্লিল’ এর দিক থেকে অপমানকর, কেননা সে যেন অন্যের উদ্দেশে নিজেকে সহবাসের জন্য ধার দিল। কেননা সে এই স্ত্রীর সাথে সহবাস করছে যাতে ‘মুহাল্লাল লাহূ’র জন্য হালাল হয়ে যায়। এজন্যই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন ব্যক্তিকে ভাড়া করা পাঠার সাথে তুলনা করেন।

তবে এ ধরনের বিবাহে ‘আকদ বা বিবাহ বাতিল হবে বলে প্রমাণ নেই। যদিও কেউ কেউ এমন বলে থাকেন। বরং হাদীস থেকে বিবাহ বিশুদ্ধ হয়ে যাওয়ার প্রমাণ মিলে। কেননা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিবাহকারীকে ‘মুহাল্লিল’ তথা বৈধকারী আখ্যা দিয়েছেন। আর বিবাহ শুদ্ধ হলেই বৈধকারী হবে। কেননা ফাসিদ বা অকার্যকর বিবাহ বৈধ করতে পারে না। তবে যদি সহবাসের পর তালাক দেয়ার শর্ত করে নেয়, এ ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে। যদিও এ ক্ষেত্রে বিবাহ বাতিল বা অকার্যকর হওয়াটাই প্রকাশ্য।

‘আল্লামা তাক্বীউদ্দীন শুমুনী মিসরী (১৪৬৭ হিঃ) বলেনঃ মুহাল্লিলকে অভিশাপ দেয়ার কারণ হলো, সে বিচ্ছেদের ইচ্ছায় বিবাহ করেছে, অথচ বিবাহ স্থায়ী সম্পর্কের জন্যই শারী‘আতসিদ্ধ। সে এমনটি করে ভাড়া করা পাঠার ন্যায় হয়ে গেছে। আর যার জন্য বৈধ করা হচ্ছে তার ওপর অভিশাপের কারণ হলো, সে এর মাধ্যম হয়েছে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)