পরিচ্ছেদঃ ১১. প্রথম অনুচ্ছেদ - খুল্‘ই (খুলা‘ তালাক) ও তালাক প্রসঙ্গে
৩২৭৭-[৪] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোনো ব্যাপারে (হালালকে) হারাম করলে কাফফারা দিতে হবে, ’’নিশ্চয় তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মধ্যে (জীবনীতে) রয়েছে উত্তম আদর্শ’’। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ الْخُلْعِ وَالطَّلَاقِ
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: فِي الْحَرَامِ يُكَفَّرُ لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ الله أُسْوَة حَسَنَة
ব্যাখ্যা: কেউ যদি ইচ্ছা করে কোনো বৈধ জিনিস নিজের ওপর হারাম ঘোষণা দেয় তবে তা ভঙ্গ করলে কাফফারা দিতে হবে। কেননা এটা কসমের পর্যায় হয়ে যায়, কসম ভঙ্গ করলে যেমন কাফফারা দিতে হয় এটাও ঠিক তাই। এর প্রমাণ দিতে গিয়ে ইবনু ‘আব্বাস কুরআনের এই আয়াত পাঠ করেন : ‘‘আল্লাহর রসূলের মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ।’’ (সূরা আল আহযাব ৩৩ : ২১)
‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস মূলতঃ এটাই বুঝাতে চেয়েছেন, কেউ যদি আল্লাহর হালালকৃত বস্তুকে স্বেচ্ছায় নিজের ওপর হারাম করে নেয় তার ওপর কসমের কাফফারা ধার্য হবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নিজের ওপর আল্লাহর দেয়া হালাল বস্তুকে হারাম করে নিয়েছিলেন তখন আল্লাহ তা‘আলা তাকে তার কাফফারা আদায়ের নির্দেশ প্রদান করেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘হে নাবী! আল্লাহ আপনার জন্য যা হালাল করেছেন তা কেন নিজের ওপর হারাম করে নিচ্ছেন?’’ (সূরা আত্ তাহরীম ৬৫ : ০১)। (ফাতহুল বারী ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৯০৮; মিরকাতুল মাফাতীহ)
এ বিষয়ে সামনের হাদীসে বিস্থাতির আলোচনা আসছে।