পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৩০৮৪-[৫] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ উট আরোহণকারিণীদের মধ্যে সর্বোত্তম নারী কুরায়শ বংশের নারীগণ, তারা শৈশবকালে সন্তানের প্রতি অধিক স্নেহপরায়ণা হয় এবং স্বামীর ধন-সম্পদের উত্তম রক্ষনাবেক্ষণকারিণী হয়। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «خَيْرُ نسَاء ركبن الْإِبِل صَالح نسَاء قُرَيْش أَحْنَاهُ عَلَى وَلَدٍ فِي صِغَرِهِ وَأَرْعَاهُ عَلَى زَوْجٍ فِي ذَاتِ يَدِهِ»
ব্যাখ্যা: মারইয়াম (আঃ)-এর বর্ণনা সংক্রান্ত হাদীসের শেষে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-এর কথা (মারইয়াম বিনতু ‘ইমরান (আঃ) কখনই উটের পিঠে সওয়ার হননি) এর থেকে বুঝা যায় যে, হাদীসে উল্লেখিত গুণাবলী থেকে মারইয়াম (আঃ)-কে তিনি আলাদা করছেন। কারণ তিনি তো উঠের পিঠে সওয়ার হননি, কাজেই কুরায়শী নারীদের শ্রেষ্ঠত্ব তো তার ওপর বর্তায় না। তবে কুরায়শী সকল নারীদের ওপর মারইয়াম (আঃ)-এর শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে। অপর বর্ণনায় রয়েছে যে, নারীদের মধ্যে উত্তম নারী হলেন মারইয়াম (আঃ), নারীদের মধ্য উত্তম নারী হলো খাদীজাহ্ (রাঃ)। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা (خَيْرُ نِسَاءِ رَكَبْنَ الْإِبِلَ) এটা দ্বারা আরবের নারীদের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। কারণ তাদের অধিকাংশই উটের পিঠে সওয়ার হতেন। (ফাতহুল বারী ৯ম খন্ড, হাঃ ৫০৮২)
আর কুরায়শী নারীদের শ্রেষ্ঠত্ব হাদীসে উল্লেখিত গুণাবলীর কারণে। সেগুলো হলো, সন্তানদের প্রতি রক্ষণশীল হওয়া, তাদের প্রতি স্নেহশীল হওয়া, উত্তমভাবে তাদের প্রতিপালন করা তারা ইয়াতীম হলে তাদের প্রতিপালনে অবিচল থাকা। অনুরূপভাবে স্বামীর সম্পদের ক্ষেত্রে তার হক আদায় করা, তা সংরক্ষণ করা, আমানত রক্ষা করা, খরচ বা অন্য বিষয়ের ক্ষেত্রে চিন্তা-ভাবনা করা সহ বিবিধ গুণাবলীর কারণে আরবের নারীরা অন্যদের থেকে শ্রেষ্ঠ। (শারহে মুসলিম ১৫/১৬ খন্ড, হাঃ ২৫২৭)