পরিচ্ছেদঃ ১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ফারায়িয (মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বণ্টন সম্বন্ধীয়) ও অন্তিম উপদেশ বা আদেশ)
৩০৫৩-[১৩] ওয়াসিলাহ্ ইবনুল আসক্বা’ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ স্ত্রীলোক তিনটি মীরাস (উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তি) সম্পূর্ণরূপে লাভ করে, তার মুক্ত ক্রীতদাসের মীরাস, তার হারানো প্রাপ্ত সন্তানের মীরাস এবং যে সন্তান সম্পর্কে সে লি’আন করেছে তার মীরাস। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]
وَعَن وائلة بْنِ الْأَسْقَعِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تَحُوزُ الْمَرْأَةُ ثَلَاثَ مَوَارِيثَ عَتِيقَهَا وَلَقِيطَهَا وَوَلَدَهَا الَّذِي لَاعَنَتْ عَنْهُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه
ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেছেন- একজন মহিলা তিন ধরনের উত্তরাধিকারী সম্পদ লাভ করে, প্রথমতঃ যদি কোনো মহিলা কোনো দাস-দাসীকে আযাদ করে এবং উক্ত দাস দাসীর কোনো ওয়ারিস না থাকে মুনীব ব্যতীত, এমতাবস্থায় ঐ মহিলা মুনীব তার আযাদকৃত দাস-দাসীর সম্পদের ওয়ারিস হবে। দ্বিতীয়তঃ কোনো মহিলা যদি কোনো শিশুকে রাস্তায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পায়, যার কোনো পিতা-মাতা নেই। আর ঐ শিশুর মৃত্যু পরবর্তী পরিত্যক্ত সম্পদে কোনো ওয়ারিস না থাকে, তাহলে ঐ সংগ্রহকারিণী মহিলাই তার সম্পদের ওয়ারিস হবে। এই মতটি শুধুমাত্র ইসহক ইবনে রাহিবিয়্যাহ্ সমর্থন করেছেন, অপরদিকে অন্য সকল ‘আলিম একমত যে, শিশুর সংগ্রহকারীর জন্য কোনো পরিত্যক্ত সম্পদ নেই। দলীল : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- «لَا وَلَاءَ إِلَّا وَلَاءُ الْعَتَاقَةِ» অর্থাৎ- আযাদ করার মাধ্যমে অভিভাবকত্ব অর্জন করা ছাড়া অন্য কোনো মাধ্যমে অভিভাবকত্ব নেই। তৃতীয়তঃ যে মহিলার স্বামী তার গর্ভস্থিত সন্তানকে লি‘আনের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করেছে, ঐ গর্ভস্থিত সন্তান জীবিতাবস্থায় জন্মগ্রহণ করলে পরবর্তীতে তার সম্পদ থেকে তার মা ওয়ারিস হবে কিন্তু পিতা ওয়ারিস হবে না এবং তাকে ওয়ারিস বানাবে না। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৯০৩; তুহফাতুল আওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২১১৫; মিরকাতুল মাফাতীহ)