পরিচ্ছেদঃ ১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ফারায়িয (মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বণ্টন সম্বন্ধীয়) ও অন্তিম উপদেশ বা আদেশ)
৩০৪৬-[৬] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুই ভিন্নধর্মের লোক একে অপরের ওয়ারিস হয় না। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَتَوَارَثُ أَهْلُ مِلَّتَيْنِ شَتَّى» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَابْن مَاجَه
ব্যাখ্যা: পরস্পর ভিন্ন ধর্মী দু’টি গোষ্ঠী বা সম্প্রদায় একজন অপরজন থেকে উত্তরাধিকারী সূত্রে সম্পদ লাভ করে না। তথা মৃত ব্যক্তি এবং তার ওয়ারিসদের মাঝে দু’জন দু’ ধর্মের হলে একে অপরের সম্পদে ওয়ারিস হবে না। পরস্পর ভিন্নধর্মী দ্বারা কি উদ্দেশ্য তা নিয়ে ফাকীহদের মাঝে মতভেদ রয়েছে-
ইবনুল মালিক (রহঃ) বলেন, ধর্মের ভিন্নতা মানে- পরস্পর কুফরী ধর্মের হলে। তথা একজন ইয়াহূদী অপরজন খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী বা একজন অগ্নিপূজক অপরজন মূর্তিপূজক ইত্যাদি। এক কথায় যদি পরস্পরে ভিন্নধর্মী হয় কুফরী ধর্মের ক্ষেত্রে তাহলে একজন অপরজনকে ওয়ারিস বানাবে না।
ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ) অনুরূপ মত ব্যক্ত করেছেন। অধিকাংশ ফাকীহ ও ‘আলিম বলেছেন, ধর্মের মাঝে ভিন্নতা মানে ‘‘একজনে ইসলাম ধর্মের অনুসারী আর অপরজন কুফরী ধর্মের অনুসারী’’ তথা পরস্পরে ইসলাম ধর্ম এবং কুফরী ধর্মের মাঝে ভিন্ন হলে একে অপরকে ওয়ারিস বানাবে না। এক্ষেত্রে সকল কুফরী ধর্ম ‘‘এক’’। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, «الْكَفَرَةَ كُلَّهُمْ مِلَّةٌ وَاحِدَةٌ» সকল কাফির একটি গোষ্ঠী। (কুফরীর দিক থেকে)। সুতরাং ইসলামের বিপরীতে রয়েছে কুফরী ধর্ম (ইয়াহূদী, খ্রিষ্টান, অগ্নিপূজক ইত্যাদি সবই কুফরী)। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৯০৮; তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২১০৮; মিরক্বাতুল মাফাতীহ)