পরিচ্ছেদঃ ১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - অনাবাদী জমিন আবাদ করা ও সেচের পালা
২৯৯২-[২] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা’ব ইবনু জাসসামাহ্ বলেছেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ ও তাঁর রসূল ছাড়া পশু চারণের জমিন সংরক্ষণ করার অধিকার কারো নেই। (বুখারী)[1]
بَابُ إِحْيَاءِ الْمَوَاتِ وَالشِّرِبِ
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَنَّ الصَّعْبَ بْنَ جَثَّامَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا حِمَى إِلَّا لِلَّهِ وَرَسُولِهِ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: (لَا حِمٰى إِلَّا لِلّٰهِ وَرَسُوْلِه ﷺ) ফাতহুল বারীতে আছে, ‘আরবদের নিকট (حِمٰى) এর মূল হলো- তাদের কোনো নেতা যখন উর্বর স্থানে যেত, তখন উঁচু স্থানে একটি কুকুর দ্বারা আওয়াজ করাত, কুকুরের আওয়াজ যে পর্যন্ত পৌঁছত চতুর্দিকে ঐ স্থান পর্যন্ত সংরক্ষণ করত, তখন সেখানে অন্য কেউ প্রাণী চড়াত না অথচ ঐ নেতা অন্য চারণভূমিতে অন্যদের সাথে তার প্রাণী চড়াত।
(حِمٰى) বলতে সংরক্ষিত স্থান, তা বৈধতার বিপরীত। এর উদ্দেশ্য হলো, ঐ মৃত ভূখণ্ড আবাদ করা হতে বাধা দেয়া, যাতে সেখানে পূর্ণরূপে ঘাস উৎপন্ন হয়, অতঃপর বিশেষ প্রাণীসমূহ সেখানে চড়তে পারে এবং অন্য প্রাণীসমূহকে বাধা দিতে পারে। শাফি‘ঈদের নিকট প্রণিধানযোগ্য মাস্আলাহ্ হলো- সংরক্ষিত ভূমি খলীফার জন্য নির্দিষ্ট। তবে কেউ কেউ গভর্নরদেরকে এর সাথে সম্পর্কিত করেছেন। ইমাম ত্বহাবী মৃত ভূখণ্ড জীবিত করার ক্ষেত্রে ইমামের অনুমতিকে শর্ত করে তার মতের পক্ষে দলীল গ্রহণ করেছেন। উভয়ের মাঝে পার্থক্য করার মাধ্যমে সমালোচনা করা হয়েছে, কেননা সংরক্ষণ করা ভূমি জীবিত করা ভূমি অপেক্ষা নির্দিষ্ট। আল্লাহ সর্বাধিক জ্ঞাত। (ফাতহুল বারী ৫ম খন্ড, হাঃ ২৩৭০)