পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কারো সম্পদে অন্যায় হস্তক্ষেপ, ঋণ ও ক্ষতিপূরণ
২৯৫৭-[২০] রাফি’ ইবনু ’আমর আল গিফারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বাচ্চা ছিলাম। আনসারদের খেজুর গাছে ঢিল ছুঁড়তাম। একবার আমাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ধরে আনা হলো। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জিজ্ঞেস করলেন, হে বাচ্চা! তুমি কেন খেজুর গাছে ঢিল ছোঁড়? আমি বললাম, খেতে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ঢিল ছুঁড়ো না, গাছের নীচে যা পড়ে থাকে তা খেয়ো। (রাবী বলেন) অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার মাথার উপর হাত বুলিয়ে বললেন, হে আল্লাহ! তুমি তার পেটকে ভরে দাও। (তিরমিযী, আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]
وَعَن رَافع بن عَمْرو الْغِفَارِيّ قَالَ: كُنْتُ غُلَامًا أَرْمِي نَخْلَ الْأَنْصَارِ فَأُتِيَ بِيَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «يَا غُلَامُ لِمَ تَرْمِي النَّخْلَ؟» قُلْتُ: آكُلُ قَالَ: «فَلَا تَرْمِ وَكُلْ مِمَّا سَقَطَ فِي أَسْفَلِهَا» ثُمَّ مَسَحَ رَأْسَهُ فَقَالَ: «اللَّهُمَّ أَشْبِعْ بَطْنَهُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ وَسَنَذْكُرُ حَدِيثَ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ فِي «بَابِ اللّقطَة» إِن شَاءَ الله تَعَالَى
ব্যাখ্যা: হাদীসটিতে প্রমাণ রয়েছে, লেখক (রহঃ) যা দিয়ে অধ্যায় বেঁধেছেন তার। অধ্যায়টি হলো- (بَاب مَنْ قَالَ إِنَّه يَأْكُلُ مِمَّا سَقَطَ) অর্থাৎ- ‘‘নিশ্চয় বৃক্ষ হতে নীচে যা পড়ে তা সে খাবে’’। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৬১৯)
(وَكُلْ مِمَّا سَقَطَ فِى اسْفَلِهَا) অর্থাৎ- নীচে যা পতিত হয় তা হতে খাও। কেননা সাধারণ নিয়ম এই যে, অধিকাংশ সময় আহরকের জন্য পতিত জিনিসের প্রতি উদারতা প্রদর্শন করা হয়। বিশেষ করে ফলের প্রতি ঝোঁকপ্রবণ শিশুদের ক্ষেত্রে। মুযহির বলেনঃ নিরুপায় ব্যক্তির ক্ষেত্রে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য পতিত খেজুর খাওয়া বৈধ করেছিলেন, অন্যথায় পতিত বস্তু খাওয়াও তার জন্য বৈধ হবে না। কেননা তা অন্যের সম্পদ, অনুমতি ব্যতীত তা অন্যের জন্য বৈধ নয়, যেমন গাছে থাকা খেজুর অন্যের জন্য অবৈধ।
ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ ছোট ছেলেটি যদি নিরুপায় হত তাহলে জমিনের উপর কিছু না থাকলে তার জন্য বৃক্ষ হতে ঢিল ছুঁড়ে আহরণ করা খেজুর খাওয়া বৈধ করতেন।
(ثُمَّ مَسَحَ رَأْسَه فَقَالَ : اللّٰهُمَّ أَشْبِعْ بَطْنَه) একমতে বলা হয়েছে, এটা ঐ কথার উপর প্রমাণ বহন করছে যে, ছোট ছেলেটি নিরুপায় ছিল না। (মিরকাতুল মাফাতীহ)