পরিচ্ছেদঃ ৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - দেউলিয়া (দারিদ্র্য) হওয়া এবং ঋণীকে অবকাশ দান
২৯১১-[১৩] আবূ কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক লোক জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রসূল! আমি জানতে চাই, যদি দৃঢ়পদ থেকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশে পশ্চাদপদ না হয়ে সম্মুখপানে অগ্রসর হয়ে আল্লাহর পথে শহীদ হই, তবে কি আল্লাহ আমার সব গুনাহ মাফ করে দেবেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর ঐ লোক চলে যেতে উদ্যত হলে পিছন থেকে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে ডেকে বললেন, কিন্তু ঋণ ক্ষমা করা হবে না। জিবরীল (আঃ) এসে এ কথাটিই বলে গেলেন। (মুসলিম)[1]
بَابُ الْإفْلَاسِ وَالْاِنْظَارِ
وَعَن أبي قَتَادَة قَالَ: قَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ قُتِلْتُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ صَابِرًا مُحْتَسِبًا مُقبلا غير مُدبر يكفر اللَّهُ عَنِّي خَطَايَايَ؟ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «نَعَمْ» . فَلَمَّا أَدْبَرَ نَادَاهُ فَقَالَ: «نَعَمْ إِلَّا الدَّيْنَ كَذَلِكَ قَالَ جِبْرِيلُ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ
ব্যাখ্যা: একমাত্র আল্লাহর জন্য ইখলাস নিয়্যাতের সাথে যে যুদ্ধ করবে তার জন্য উল্লেখিত সাওয়াব প্রযোজ্য। বংশীয় মর্যাদা, গনীমাত ও বীরত্ব কিংবা অন্য কিছুর আশায় যুদ্ধ করলে উল্লেখিত সাওয়াব প্রযোজ্য নয়। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথায় (إِلَّا الدَّيْنَ বা ঋণ ব্যতীত) এ মর্মে সতর্কবাণী রয়েছে যে, জিহাদ, শাহাদাতের মৃত্যু কিংবা অন্যান্য ‘আমল কখনো মানবীয় অধিকারের কাফফারা হবে না। এগুলো শুধু আল্লাহ তা‘আলার হক আদায়ের ক্ষেত্রে কাফফারা হবে। (শারহে মুসলিম ১৩শ খন্ড, হাঃ ১৮৮৫)