হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২৮৫৩

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়

২৮৫৩-[২০] আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাপড় পরার দু’টি পদ্ধতিকে নিষেধ করেছেন এবং ক্রয়-বিক্রয়েরও দু’টি নিয়ম নিষেধ করেছেন। ক্রয়-বিক্রয়ের নিয়ম দু’টি হলো ’মুলামাসাহ্’ ও ’মুনাবাযাহ্’। ’মুলামাসাহ্’ হলো রাতে বা দিনে ক্রেতা-বিক্রেতার (বিক্রয়ের) কাপড়টিতে হাত দিয়ে স্পর্শ করলেই সে তা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে। কিন্তু সেটা দেখে বিবেচনা করার কোনো সুযোগই তার থাকবে না। আর ’মুনাবাযাহ্’ হলো পরস্পর একজনের কোনো কাপড় অন্যজনের দিকে ছুঁড়ে মারলেই তাদের মধ্যে ক্রয়-বিক্রয় করা বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে। ক্রয়ের বস্তু যাচাই-বাছাইয়ের কোনো সুযোগই তার থাকবে না এবং উভয়পক্ষের মতামতেরও অপেক্ষা করা হবে না। আর কাপড় পরার (নিষিদ্ধ) পদ্ধতি দু’টি হলো- [১] লুঙ্গি জাতীয় কাপড় পরা ছাড়া এক চাদরে শরীর ঢাকার জায়গায় চাদরের একদিক কাঁধে উঠিয়ে রাখা; যাতে করে অপর পাশ খোলা হয়ে যায়, যে কাঁধের উপর কোনো কাপড় থাকে না। [২] লুঙ্গি জাতীয় কাপড় পরে ইহতিবা পদ্ধতিতে বসা, অর্থাৎ দু’ হাঁটু খাড়া করে বসা। এতে করে সতরের মধ্যে কোনো কাপড় থাকে না। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ الْمَنْهِىِّ عَنْهَا مِنَ الْبُيُوْعِ

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ لِبْسَتَيْنِ وَعَنْ بَيْعَتَيْنِ: نَهَى عَنِ الْمُلَامَسَةِ والمُنابذَةِ فِي البيعِ وَالْمُلَامَسَةُ: لَمْسُ الرَّجُلِ ثَوْبَ الْآخَرِ بِيَدِهِ بِاللَّيْلِ أَو بالنَّهارِ وَلَا يقْلِبُه إِلَّا بِذَلِكَ وَالْمُنَابَذَةُ: أَنْ يَنْبِذَ الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ بِثَوْبِهِ وَيَنْبِذَ الْآخَرُ ثَوْبَهُ وَيَكُونُ ذَلِكَ بَيْعَهُمَا عَنْ غَيْرِ نَظَرٍ وَلَا تَرَاضٍ وَاللِّبْسَتَيْنِ: اشْتِمَالُ الصَّمَّاءِ وَالصَّمَّاءُ: أَنْ يَجْعَلَ ثَوْبَهُ عَلَى أَحَدِ عَاتِقَيْهِ فَيَبْدُوَ أَحَدُ شِقَّيْهِ لَيْسَ عَلَيْهِ ثَوْبٌ وَاللِّبْسَةُ الْأُخْرَى: احْتِبَاؤُهُ بِثَوْبِهِ وَهُوَ جَالِسٌ ليسَ على فرجه مِنْهُ شَيْء

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে যে কয়টি কেনা-বেচার রূপ বলে দেয়া হয়েছে সব ক’টি বাতিল। আল মুনাবাযাহ্ (একে অন্যের প্রতি পণ্য ছুঁড়ে মারার মাধ্যমে যে কেনা-বেচা করা) এটি তিন পদ্ধতিতে হতে পারে। (১) ক্রেতা-বিক্রেতার যে কেউ নিজের পক্ষ হতে পণ্য ছুঁড়ে মারার মাধ্যমে লেন-দেন ঠিক করা- এটি ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ)-এর ব্যাখ্যা। (২) এমন কথা বলা যে, আমি এ পণ্য তোমার কাছে বিক্রি করলাম, যখন আমি এ পণ্য তোমার দিকে ছুঁড়ে মারবো, তখন কোনো ইখতিয়ার বা যাচাই করার সুযোগ থাকবে না এবং বিক্রি আবশ্যক হয়ে যাবে। (৩) কংকর বা পাথর ছুঁড়ে মারার মাধ্যমে লেনদেন করা। [এ তিন পদ্ধতিই জাহিলী জামানার পদ্ধতি, এ সবগুলো পদ্ধতি হরাম] (শারহে মুসলিম ১০ম খন্ড, হাঃ ১৫১২)