পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - নিষিদ্ধ বস্তু ক্রয়-বিক্রয়
২৮৪১-[৮] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (কোনো প্রকার গাছ বা বাগানের ফল) কয়েক বছরের জন্য অগ্রিম বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন এবং (বিক্রিত ফল ক্রেতা কর্তৃক) সংগ্রহের আগে যা নষ্ট হয়, তার মূল্য কর্তন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। (মুসলিম)[1]
بَابُ الْمَنْهِىِّ عَنْهَا مِنَ الْبُيُوْعِ
وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَيْعِ السِّنِينَ وَأَمَرَ بوضْعِ الجوائحِ. رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: (بَيْعِ السِّنِينَ) দ্বারা উদ্দেশ্য হলো কোনো ফলদার বৃক্ষ কয়েক বছরের জন্য ক্রয়-বিক্রয় করা। এরূপ বিক্রয়কৃত গাছের পাকা ফল যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বা অন্য কোনো কারণে নষ্ট হয় তবে বিক্রেতার প্রাপ্ত মূল্য কর্তন করতে হবে। ইবনু মালিক (রহঃ) বলেন, এখানে (أَمَرَ) বা নির্দেশমূলক শব্দ দ্বারা মুস্তাহাব উদ্দেশ্য। আর এটা অধিকাংশ ‘উলামাগণের মত। কেননা বিক্রিত ফসল ক্রেতা কর্তৃক হস্তগত হওয়ার পর তাতে কোনো ক্ষতি হলে তা ক্রেতার জিম্মায় থাকবে- (মিরকাতুল মাফাতীহ)। তবে ফল পাকার পর যখন তা বিক্রি করা হবে এবং বিক্রেতা তা ক্রেতার কাছে অর্পণ করবে, অতঃপর কোনো দুর্যোগে ফল নষ্ট হলে এটি কি বিক্রেতার জিম্মায় বা নষ্টের দায়ভার ক্রেতার ওপর বর্তাবে? নাকি বিক্রেতার ওপর বর্তাবে। এ বিষয়ে ‘উলামাগণের মাঝে বৈপরীত্য রয়েছে।
ইমাম শাফি‘ঈ (রহঃ) তার দু’টি মতের মধ্যে বিশুদ্ধ মতে ও ইমাম আবূ হানীফাহ্, আল লায়স বিন সা‘দ (রহঃ) এবং অন্যান্যরা বলেন, এটা ক্রেতার দায়িত্ব থাকবে ফল নষ্টের দায়ভার ক্রেতার দিকে বর্তাবে এবং এর জন্য মূল্য কর্তন আবশ্যক নয়, তবে মুস্তাহাব হবে। আর শাফি‘ঈ (রহঃ)-এর পূর্ব মতে এবং এক দল ‘উলামার মতে, এটা বিক্রেতার দায়িত্ব থাকবে এবং এর জন্য মূল্য কর্তন ওয়াজিব। ইমাম মালিক (রহঃ) বলেনঃ ফলের ক্ষতি যদি এক-তৃতীয়াংশের কম হয়। তবে মূল্য কর্তন ওয়াজিব নয়। আর যদি এক-তৃতীয়াংশ বা তার বেশী ক্ষতি হয় তবে মূল্য কর্তন ওয়াজিব হবে এবং ক্ষতির দায়-দায়িত্ব বিক্রেতার দিকেই বর্তাবে। (শারহে মুসলিম ১০ম খন্ড, হাঃ ১৫৫৪)