পরিচ্ছেদঃ যুদ্ধলব্ধ সম্পদে খিয়ানত
(২০০৪) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে দণ্ডায়মান হয়ে গনীমতের মালে খেয়ানতের কথা উল্লেখ করলেন এবং বিষয়টির প্রতি ভীষণ গুরুত্ব আরোপ করলেন। পরিশেষে তিনি বললেন, ’’আমি তোমাদের মধ্যে কাউকে যেন কিয়ামতের দিন চিঁহিঁ-রববিশিষ্ট উট ঘাড়ে করে বহন করা অবস্থায় উপস্থিত না পাই। যখন সে বলবে, ’হে আল্লাহর রসূল! আমাকে বাঁচান!’ আর আমি বলব, ’আমি তোমার কোন প্রকার সাহায্য করতে পারব না। আমি তো (দুনিয়াতে) তোমার নিকট এ (দুরবস্থার কথা) পৌঁছে দিয়েছিলাম।’
আমি তোমাদের মধ্যে কাউকে যেন কিয়ামতের দিন চিঁহিঁ-রববিশিষ্ট ঘোড়া ঘাড়ে করে বহন করা অবস্থায় উপস্থিত না পাই। যখন সে বলবে ’আল্লাহর রসূল! আমাকে বাঁচান!’ তখন আমি বলব, ’আমি তোমার কোন প্রকার উপকার করতে সমর্থ নই। আমি তো (পৃথিবীতে) তোমার নিকট (এ দুর্দিনের কথা) পৌঁছে দিয়েছিলাম।’
আমি তোমাদের মধ্যে কাউকে যেন কিয়ামতের দিন মেঁ-মেঁ রববিশিষ্ট ছাগল ঘাড়ে বহন করা অবস্থায় উপস্থিত না পাই। যখন সে বলবে, ’হে আল্লাহর রসূল! আমাকে বাঁচান।’ আর আমি তখন বলব, ’আমি তোমার কোন প্রকার সহায়তা করতে সক্ষম নই। আমি তো তোমার নিকট (এ করুণ অবস্থার কথা দুনিয়াতে) পৌঁছে দিয়েছিলাম।’
আমি তোমাদের মধ্যে কাউকে যেন কিয়ামতের দিন চিৎকার আওয়াজ-বিশিষ্ট কোন জীব ঘাড়ে বহন করা অবস্থায় উপস্থিত না পাই। যখন সে বলবে, ’হে আল্লাহর রসূল! আমাকে বাঁচান!’ আর আমি সে সময় বলব ’আমি তোমার কোন প্রকার সাহায্য করতে পারব না। আমি তো (দুনিয়াতে) তোমার নিকট (এ নিদারুন অবস্থার কথা) পৌঁছে দিয়েছিলাম।’
আমি তোমাদের কাউকে যেন কিয়ামতের দিন উড়ন্ত কাপড় ঘাড়ে বহন করা অবস্থায় উপস্থিত না পাই। যখন সে বলবে, ’হে আল্লাহর রসূল! আমাকে সাহায্য করুন!’ আর আমি তখন বলব, ’আমি তোমার কোন প্রকার উপকার করতে পারব না। আমি তো (দুনিয়াতে) তোমার নিকট (এ দুর্দশার কথা) পৌঁছে দিয়েছিলাম।’
আমি তোমাদের মধ্যে কাউকে যেন কিয়ামতের দিন সোনা-চাঁদি ঘাড়ে বহন করা অবস্থায় উপস্থিত না পাই। যখন সে বলবে, ’হে আল্লাহর রসূল! আমাকে সাহায্য করুন!’ আর আমি তখন বলব, ’আমি তোমার কোন প্রকার সাহায্য করতে সমর্থ নই। আমি তো (পৃথিবীতে) তোমাকে (শরীয়তের কথা) পৌঁছে দিয়েছিলাম।’’
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَامَ فِينَا رَسُولُ اللهِ ﷺ ذَاتَ يَوْمٍ فَذَكَرَ الْغُلُولَ فَعَظَّمَهُ وَعَظَّمَ أَمْرَهُ ثُمَّ قَالَ لاَ أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ يَجِىءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رَقَبَتِهِ بَعِيرٌ لَهُ رُغَاءٌ يَقُولُ يَا رَسُولَ اللهِ أَغِثْنِى فَأَقُولُ لاَ أَمْلِكُ لَكَ شَيْئًا قَدْ أَبْلَغْتُكَ لاَ أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ يَجِىءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رَقَبَتِهِ فَرَسٌ لَهُ حَمْحَمَةٌ فَيَقُولُ يَا رَسُولَ اللهِ أَغِثْنِى فَأَقُولُ لاَ أَمْلِكُ لَكَ شَيْئًا قَدْ أَبْلَغْتُكَ لاَ أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ يَجِىءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رَقَبَتِهِ شَاةٌ لَهَا ثُغَاءٌ يَقُولُ يَا رَسُولَ اللهِ أَغِثْنِى فَأَقُولُ لاَ أَمْلِكُ لَكَ شَيْئًا قَدْ أَبْلَغْتُكَ لاَ أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ يَجِىءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رَقَبَتِهِ نَفْسٌ لَهَا صِيَاحٌ فَيَقُولُ يَا رَسُولَ اللهِ أَغِثْنِى فَأَقُولُ لاَ أَمْلِكُ لَكَ شَيْئًا قَدْ أَبْلَغْتُكَ لاَ أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ يَجِىءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رَقَبَتِهِ رِقَاعٌ تَخْفِقُ فَيَقُولُ يَا رَسُولَ اللهِ أَغِثْنِى فَأَقُولُ لاَ أَمْلِكُ لَكَ شَيْئًا قَدْ أَبْلَغْتُكَ لاَ أُلْفِيَنَّ أَحَدَكُمْ يَجِىءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى رَقَبَتِهِ صَامِتٌ فَيَقُولُ يَا رَسُولَ اللهِ أَغِثْنِى فَأَقُولُ لاَ أَمْلِكُ لَكَ شَيْئًا قَدْ أَبْلَغْتُكَ