হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৮৭৪

পরিচ্ছেদঃ মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ

মহান আল্লাহ বলেন,

وَاجْتَنِبوا قَوْلَ الزُّورِ

অর্থাৎ, তোমরা মিথ্যা কথন থেকে দূরে থাক। (সূরা হজ্জ ৩০)

তিনি আরো বলেন,

وَلاَ تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ

অর্থাৎ, যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই সেই বিষয়ে অনুমান দ্বারা পরিচালিত হয়ো না। (সূরা ইসরা ৩৬)

তিনি আরো বলেছেন,

مَا يَلْفِظُ مِنْ قَولٍ إِلاَّ لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ

অর্থাৎ, মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করুক না কেন তা লিপিবদ্ধ করার জন্য তৎপর প্রহরী তার নিকটেই রয়েছে। (ক্বাফ ১৮)

আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

إنَّ رَبَّكَ لبالمِرْصَادِ

অর্থাৎ, নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক সময়ের প্রতীক্ষায় থেকে সতর্ক দৃষ্টি রাখেন। (সূরা ফাজর ১৬)

তিনি আরো বলেছেন,

وَالَّذِينَ لاَ يَشْهَدُونَ الزُّورَ

অর্থাৎ, (তারাই পরম দয়াময়ের দাস) যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না। (সূরা ফুরক্বান ৭২)


(১৮৭৪) আবূ বকরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদেরকে কি অতি মহাপাপের কথা বলে দেব না? আমরা বললাম, ’অবশ্যই বলুন হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক করা এবং মাতা-পিতার অবাধ্যাচরণ করা। তারপর তিনি হেলান ছেড়ে উঠে বসলেন এবং বললেন, শোন! আর মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া। শেষোক্ত কথাটি তিনি বারবার বলতে থাকলেন। এমনকি অনুরূপ বলাতে আমরা (মনে মনে) বললাম, ’যদি তিনি চুপ হতেন।’

وَعَنْ أَبي بَكْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ أَلاَ أُنَبِّئُكُمْ بِأَكْبَرِ الكَبَائِرِ ؟ قُلْنَا : بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ الإِشْرَاكُ بِاللهِ وعُقُوقُ الوَالِدَيْنِ وَكَانَ مُتَّكِئاً فَجَلَسَ فَقَالَ أَلاَ وَقَولُ الزُّورِ فَمَا زَالَ يُكَرِّرُهَا حَتَّى قُلنَا : لَيْتَهُ سَكَتَ متفق عَلَيْهِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ বাকরা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ