পরিচ্ছেদঃ ২. ওসিয়াতকারীর নিজ সম্পদের কতটুকু ওসিয়াত করা বৈধ নয়
২৮৬৪। ’আমির ইবনু সা’দ (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা (সা’দ) একবার কঠিন রোগে আক্রান্ত হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দেখতে আসলেন। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার প্রচুর সম্পদ আছে। একটি কন্যা সন্তান ছাড়া আমার কোনো ওয়ারিস নেই। কাজেই দু’-তৃতীয়াংশ সম্পদ সাদাকাহ করবো কি? তিনি বললেনঃ না। তিনি আবার জিজ্ঞেস করেন, অর্ধেক সম্পদ? তিনি বললেনঃ না। তিনি আবার জিজ্ঞেস করেন, এক-তৃতীয়াংশ। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। তিন ভাগের এক ভাগ ওসিয়াত করতে পারো। তবে এটাও বেশি হয়ে যাচ্ছে। তোমার ওয়ারিসরা অন্যের নিকট ভিক্ষা চাইবে- তাদেরকে এমন দুঃস্থ অবস্থায় রেখে যাওয়ার চেয়ে সচ্ছল অবস্থায় রেখে যাওয়া অনেক উত্তম। তুমি তাদের জন্য যা খরচ করবে, তোমাকে তার প্রতিদান দেয়া হবে। এমন কি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যে খাবারের লোকমা তুলে দাও তারও প্রতিদান পাবে।
আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি আমার হিজরতের নেকী থেকে পরিত্যক্ত হবো? তিনি বললেনঃ আমার হিজরতের পর তুমি যদি (মক্কাতে) থেকে যাও এবং আমার অনুপস্থিতিতেও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নেক আমল অব্যাহত রাখো তাহলে তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। আমি আশা করি তুমি বেঁচে থাকবে এবং একদল তোমার দ্বারা উপকৃত হবে, আর অন্যদল তোমার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অতঃপর তিনি এ দু’আ করলেনঃ ’’হে আল্লাহ! আমার সাহাবীদের হিজরত পরিপূর্ণ করুন; তাদেরকে হিজরতের পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দিবেন না।’’ কিন্তু নিঃস্ব সাঈদ ইবনু খাওলাহ (রাঃ) মক্কায় মারা যান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে স্মরণ করে অনুশোচনা করতেন।[1]
بَابُ مَا جَاءَ فِي مَا لَا يَجُوزُ لِلْمُوصِي فِي مَالِهِ؟
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَابْنُ أَبِي خَلَفٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: مَرِضَ مَرَضًا - قَالَ ابْنُ أَبِي خَلَفٍ - بِمَكَّةَ، ثُمَّ اتَّفَقَا أَشْفَى فِيهِ فَعَادَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي مَالًا كَثِيرًا وَلَيْسَ يَرِثُنِي إِلَّا ابْنَتِي أَفَأَتَصَدَّقُ بِالثُّلُثَيْنِ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: فَبِالشَّطْرِ؟ قَالَ: لَا. قَالَ: فَبِالثُّلُثِ؟ قَالَ: الثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ، إِنَّكَ أَنْ تَتْرُكَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَدَعَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ، وَإِنَّكَ لَنْ تُنْفِقَ نَفَقَةً إِلَّا أُجِرْتَ بِهَا حَتَّى اللُّقْمَةُ تَرْفَعُهَا إِلَى فِي امْرَأَتِكِ. قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتَخَلَّفُ عَنْ هِجْرَتِي؟ قَالَ: إِنَّكَ إِنْ تُخَلَّفْ بَعْدِي فَتَعْمَلَ عَمَلًا صَالِحًا تُرِيدُ بِهِ وَجْهَ اللَّهِ لَا تَزْدَادُ بِهِ إِلَّا رِفْعَةً وَدَرَجَةً لَعَلَّكَ أَنْ تُخَلَّفَ حَتَّى يَنْتَفِعَ بِكَ أَقْوَامٌ وَيُضَرَّ بِكَ آخَرُونَ. ثُمَّ قَالَ: اللَّهُمَّ أَمْضِ لِأَصْحَابِي هِجْرَتَهُمْ وَلَا تَرُدَّهُمْ عَلَى أَعْقَابِهِمْ لَكِنِ الْبَائِسُ سَعْدُ بْنُ خَوْلَةَ يَرْثِي لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ مَاتَ بِمَكَّةَ صحيح
Narrated 'Amir b. Sa'd:
On the authority of his father (Sa'd b. Abi Waqqas): When he (Sa'd) fell ill at Mecca (according to the version of Ibn Abi Kkalaf) - then the agreed version has: which brought him near to death - the Messenger of Allah (ﷺ) went to visit him. He said: Messenger of Allah, I have a large amount of property, and my daughter is my only heir. May I give two-thirds (of my property) as a sadaqah (charity)? He said: No. He asked: Then a half ? He replied: No. He asked: Then one-third ? He replied: (You may will away) a third and third is a lot. To leave your heirs rich is better than to leave them poor begging from people. You will not spend anything, seeking thereby to please Allah, without being rewarded for it, even the mouthful you give your wife. I said: Messenger of Allah, shall I be left behind form immigration (to Medina)? He said: If you remain behind after me and do good works seeking the pleasure of Allah, your rank will be raised and degree increased. Perhaps you will not remain behind, and some people will benefit from you and others will be harmed by you. He then said: O Allah, complete the immigration of my Companions and do not turn them back. But miserable was Sa'd b. Khawlah. The Messenger of Allah (ﷺ) lamented on him as he died at Mecca.