পরিচ্ছেদঃ ১২৭. সালাত সংক্ষিপ্ত করা
৭৯০। জাবির (রাঃ) বলেন, মু’আয (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সালাত আদায়ের পর ফিরে এসে আমাদের সালাতে ইমামতি করতেন-বর্ণনাকারী পুনরায় বলেন, তিনি ফিরে এসে স্বীয় সম্প্রদায়ের লোকদের সালাতে ইমামতি করতেন। এক রাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’ইশার সালাত আদায়ে বিলম্ব করেন। সেদিনও মু’আয (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ’ইশার সালাত আদায়ের পর স্বীয় সম্প্রদায়ের নিকট গিয়ে তাদের ইমামতি করেন এবং উক্ত সালাতে তিনি সূরাহ আল-বাক্বারাহ পাঠ করলে এক ব্যক্তি জামা’আত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একাকী সালাত আদায় করে নেয়। ফলে বলা হলো, হে অমুক! তুমি কি মুনাফিক হয়ে গেলে নাকি? লোকটি বললঃ আমি মুনাফিক হই নাই।
পরে লোকটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! মু’আয (রাঃ) আপনার সাথে সালাত আদায় শেষে ফিরে গিয়ে আমাদের সালাতের ইমামতি করেন। আমরা মেহনতী মজদুর লোক এবং নিজেরাই ক্ষেতের কাজ-কর্ম করে থাকি। অথচ মু’আয (রাঃ) আমাদের সালাতে ইমামতিকালে সূরাহ বাক্বারাহ পড়েন (অর্থাৎ দীর্ঘ সুরাহ পাঠ করে থাকেন)। এ কথা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মু’আয (রাঃ)-কে সম্বোধন করে) বললেনঃ হে মু’আয! তুমি কি ফিতনা সৃষ্টিকারী? তুমি কি লোকদের ফিতনায় ফেলতে চাও? তুমি সালাতে অমুক অমুক (ছোট) সূরাহ পাঠ করবে। আবূয যুবায়ির বলেন, সূরাহ আল-’আলা, ওয়াল লাইলি ইযা ইয়াগশা এ ধরনের (ছোট) সূরাহ পাঠ করবে। অতঃপর আমরা তা (বর্ণনাকারী) ’আমরের নিকট উল্লেখ করলে তিনি বলেন, আমার ধারণা, তিনি সেটাও উল্লেখ করেছেন। [1]
সহীহ।
باب فِي تَخْفِيفِ الصَّلَاةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرٍو، سَمِعَهُ مِنْ، جَابِرٍ قَالَ كَانَ مُعَاذٌ يُصَلِّي مَعَ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم ثُمَّ يَرْجِعُ فَيَؤُمُّنَا - قَالَ مَرَّةً ثُمَّ يَرْجِعُ فَيُصَلِّي بِقَوْمِهِ - فَأَخَّرَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم لَيْلَةً الصَّلَاةَ - وَقَالَ مَرَّةً الْعِشَاءَ - فَصَلَّى مُعَاذٌ مَعَ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم ثُمَّ جَاءَ يَؤُمُّ قَوْمَهُ فَقَرَأَ الْبَقَرَةَ فَاعْتَزَلَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ فَصَلَّى فَقِيلَ نَافَقْتَ يَا فُلَانُ . فَقَالَ مَا نَافَقْتُ . فَأَتَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ مُعَاذًا يُصَلِّي مَعَكَ ثُمَّ يَرْجِعُ فَيَؤُمُّنَا يَا رَسُولَ اللهِ وَإِنَّمَا نَحْنُ أَصْحَابُ نَوَاضِحَ وَنَعْمَلُ بِأَيْدِينَا وَإِنَّهُ جَاءَ يَؤُمُّنَا فَقَرَأَ بِسُورَةِ الْبَقَرَةِ . فَقَالَ " يَا مُعَاذُ أَفَتَّانٌ أَنْتَ أَفَتَّانٌ أَنْتَ اقْرَأْ بِكَذَا اقْرَأْ بِكَذَا " . قَالَ أَبُو الزُّبَيْرِ بِـ ( سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الأَعْلَى ) ( وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى ) فَذَكَرْنَا لِعَمْرٍو فَقَالَ أُرَاهُ قَدْ ذَكَرَهُ . - صحيح
Jabir said:
Mu’adh b. Jabal used to pray along with the Prophet (ﷺ); then he returned and led us in prayer. Sometimes he (the narrator) said: then he returned and led his people in prayer. One night the Prophet (ﷺ) delayed the prayer. Sometimes he (the narrator) mentioned the word “the night prayer”. Then Mu’adh prayed along with the Prophet (ﷺ), then returned to his people and led them in prayer, and recited Surat al-Baqarah. A man turned aside and prayed alone. The people said to him: Have you become a hypocrite, so and so? He replied: I did not become a hypocrite. He then came to the Prophet (ﷺ) and said (to him): Messenger of Allah, Mu’adh prays along with you and then returns and leads us in prayers. We look after camels used for watering and work for by day. He came to us leading us in prayer, and he recited Surah al-Baqarah (in prayer). He (the Prophet) said: Mu’adh, are you a trouble maker? Recite such and such ; recite such and such (surahs) The narrator Abu al-Zubair said (recite) “Glorify the name of the most high lord” (surah lxxxvii) and “By the night when it covers over” (surah xcii). We mentioned this to ‘Amr. He said I think he mentioned it (the names of some surahs).