পরিচ্ছেদঃ ৭৬. যে ব্যক্তি ইমামের পূর্বে মাথা উঠায় বা নামায় তার ব্যাপারে হুঁশিয়ারী
৬২৩। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কি ভয় হয় না, ইমাম সিজদাতে থাকাবস্থায় কেউ মাথা উঠালে আল্লাহ তার মাথাকে গাধার মাথা অথবা তার আকৃতিকে গাধার আকৃতিতে রূপান্তরিত করে দিতে পারেন। [1]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
[1] বুখারী (অধ্যায়ঃ আযান, অনুঃ ইমামের পূর্বে মাথা উঠানো গুনাহ, হাঃ ৬৯১) মুসলিম (অধ্যায়ঃ সালাত, অনুঃ রুকু‘ ও সিজদা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ইমামের আগে যাওয়া হারাম) মুহাম্মাদ ইবনু যিয়াদ সূত্রে।
-
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
ইমাম খাত্তাবী (রহঃ) বলেন, ঐরূপ আচরণকারীর হুকুম নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ইবনু ‘উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ ‘‘যে ব্যক্তি ঐরূপ করবে তার সালাত হবে না।’’ আহলি ‘ইলমগণ বলেনঃ সে মন্দ কাজ করলো, তবে তার সালাত জায়িয হয়ে যাবে। অবশ্য বহু আহলি ‘ইলম তাকে পুনরায় সিজদা করার নির্দেশ দিয়েছেন। কতিপয় আহলি ইলম বলেছেনঃ সিজদা থেকে ইমামের মাথা উত্তোলনের পরও সে যেটুকু সময় ছেড়ে দিয়েছিল সেটুকু সময় পর্যন্ত সিজদায় অবস্থান করবে। মূলতঃ সালাতের ইমামের আগে কিছু করা যে কত বড় অন্যায় উপরোক্ত আলোচনায় তাই সুস্পষ্ট। এছাড়া হাদীসে বর্ণিত শাস্তি সম্পর্কে কোনো কোনো বিদ্বান বলেছেনঃ উক্ত ব্যক্তিকে মূর্খ আখ্যায়িত করার জন্য গাধার সাদৃশ্য করাকে উপমা দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ ইমামের অনুসরণ ও সালাতের ফারযিয়্যাত সম্পর্কে সে অজ্ঞই হয়ে গেলো, যা জানা কি না তার জন্য ওয়াজিব ছিলো। আল্লাহই অধিক জ্ঞাত।
মাসআলাহঃ ইমামের আগে আগে কাজ করা
শায়খ সালিহ আল-উসাইমিন (রহঃ) বলেনঃ ইমামের সাথে মুক্তাদীর চারটি অবস্থা রয়েছেঃ
১। ইমামের আগে বেড়ে কোনো কিছু করাঃ অর্থাৎ ইমাম শুরু করার আগেই তা করে নেয়া। এরূপ করা হারাম। এ কাজ যদি তাকবীরে তাহরীমার ক্ষেত্রে হয় তবে তার সালাতই হবে না। সালাত পুনরায় ফিরিয়ে পড়া ওয়াজিব।
২। ইমামের সাথে সাথে করাঃ অর্থাৎ ইমামের রুকু‘র সাথে রুকু‘ করা সিজদা করার সাথে সাথে সিজদা করা, উঠে দাঁড়ানোর সাথে সাতে উঠে দাঁড়ানো। প্রকাশ্য দলীলসমূহ অনুযায়ী এরূপ করাও হারাম। তাছাড়া নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘‘তিনি রুকুতে না যাওয়া পর্যন্ত তোমরা রুকু করবে না।’’
কোনো কোনো বিদ্বান বলেছেন, এটা হারাম নয়; বরং মাকরূহ। তবে এটা যদি তাকবীরে তাহরীমার সময় হয়, তবে তার সালাতই হবে না। পনুরায় সালাত আদায় করা তার উপর ওয়াজিব।
৩। ইমামের অনুসরণ করাঃ অর্থাৎ ইমামের পর পর দেরী না করে তার অনুসরণ করা। এটাই হচ্ছে সুন্নাতী পদ্ধতি।
৪। ইমামের পিছনে পিছনে করাঃ অর্থাৎ অতিরিক্ত দেরী করে ইমামের অনুসরণ করা। এটা সুন্নাত বহির্ভূত। (ফাতাওয়াহ আরকানুল ইসলাম)
باب التَّشْدِيدِ فِيمَنْ يَرْفَعُ قَبْلَ الإِمَامِ أَوْ يَضَعُ قَبْلَهُ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " أَمَا يَخْشَى - أَوْ أَلَا يَخْشَى - أَحَدُكُمْ إِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ وَالإِمَامُ سَاجِدٌ أَنْ يُحَوِّلَ اللهُ رَأْسَهُ رَأْسَ حِمَارٍ أَوْ صُورَتَهُ صُورَةَ حِمَارٍ " .
- صحيح : ق
Abu Hurairah reported the Messenger of Allah (ﷺ) as saying; Does he who raises his head while the Imam is prostrating not fear that Allah may change his head into a donkey’s or his face into a donkey’s face.