পরিচ্ছেদঃ ২১. মসজিদে হারানো বস্তু খোঁজ করা অপছন্দনীয়
৪৭৩। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কেউ কোন ব্যক্তিকে (চিৎকার করে) মসজিদে হারানো বস্তু অনুসন্ধান করতে শুনলে সে যেন বলে, আল্লাহ তোমাকে ঐ বস্তু কখনো ফিরিয়ে না দিন। কারণ মাসজিদ তো এ কাজের জন্য নির্মান করা হয়নি।[1]
সহীহ : মুসলিম।
[1] মুসলিম (অধ্যায়ঃ মাসাজিদ), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ মাসাজিদ, অনুঃ মসজিদে হারানো বস্ত্ত সন্ধানের ব্যাপারে উঁচু শব্দ করা নিষেধ, হাঃ ৭৬৭), আহমাদ (২/৩৪৯, ৪২০), ইবনু খুযাইমাহ (১৩০২), সকলেই হাইওয়াতা ইবনু শুরাইহ সূত্রে।
-
এক নজরে মসজিদে যেসব কাজ করা নিষেধ ও অপছন্দনীয়ঃ
বিভিন্ন হাদীস ও বর্ণনার দ্বারা জানা যায় যে, মসজিদে নিম্নের কাজগুলো করা নিষেধ ও অপছন্দনীয়ঃ
(১) কাঁচা পিয়াজ, রসূন (অনুরূপ দুর্গন্ধ জাতীয় জিনিস) খেয়ে মসজিদে যাওয়া। (সহীহুল বুখারী, মুসলিম)।
(২) মসজিদে থুথু ফেলা। (সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম)।
(৩) ইয়াহূদী ও খৃষ্টানদের মতো মাসজিদকে সুউচ্চ, চাকচিক্যময়, নক্সা ও কারুকার্যময় করা। (আবূ দাঊদ)
(৪) মসজিদে হারানো বস্তুর ঘোষণা দেয়া। (সহীহ মুসলিম, আহমাদ, ইবনু মাজাহ)
(৫) মসজিদে খুনের বদলা (ক্বিসাস) এবং শারঈ শাস্তি (হাদ) প্রয়োগ করা। (আবূ দাঊদ, আহমাদ)।
(৬) মসজিদে বসে অহেতুক দুনিয়াবী কথাবার্তায় মশগুল থাকা, যদিও তা বৈধ কথা হয়। এছাড়া হারাম কথাবার্তা তো মসজিদে বলা আরো বেশি হারাম বা অন্যায়। (বায়হাক্বী, ফাতাওয়াহ ইবনু তাইমিয়্যাহ)।
(৭) মসজিদে কবিতা পাঠ করা (তবে শারী‘আত সম্মত কবিতার কথা ভিন্ন)। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী)।
(৮) মসজিদে বেচা-কেনা করা, ব্যবসা-বাণিজ্য করা। (বুখারী, মুসলিম, আবূ দাঊদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ)।
(৯) জুমু‘আহর দিনে সালাতের পূর্বে গোল হয়ে বসে চক্র বানানো। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী)।
(১০) বিনা প্রয়োজনে অহেতুক মসজিদে ঘুমানো। (সহীহুল বুখারী ও অন্যান্য)।
(১১) মসজিদে হৈ চৈ, ঝগড়া, উচ্চস্বরে কথা বলা, অন্যের ধার প্রাপ্তি চাওয়া। (সহীহুল বুখারী, অন্যান্য)।
(১২) জুনুবী অবস্থায় মসজিদে অবস্থান করা। (নায়ল ও অন্যান্য)।
(১৩) মসজিদে কোনো অংশে কাউকে কবর দেয়া। (সহীহুল বুখারী ও অন্যান্য)।
(১৪) কবরস্থানে মাসজিদ বানানো। (সহীহুল বুখারী ও অন্যান্য)।
(১৫) মাসজিদ নিয়ে পরস্পরে অহংকারে মেতে উঠা। (আবূ দাঊদ)।
(১৬) মসজিদে পশু জবাহ করা, কুরবানী করা, ইস্তিনজা করা, গোসল করা ও মৃতকে গোসল দেয়া। (ফাতাওয়াহ ইবনু তাইমিয়্যাহ)।
(১৭) মসজিদে যে কোনো বিদ‘আতী কাজ করা। উদাহরণস্বরূপঃ এ দেশে কোনো কোনো মসজিদে যিকরের নামে সন্ধ্যার পর বা রাতে বাতি নিভিয়ে অনেক লোক একত্র হয়ে জোরে জোরে আল্লাহু, ইল্লাল্লাহ. হু, হু, ইত্যাদি বলতে দেখা যায়। এ কাজ পথভ্রষ্ট বিদ‘আত ও সীমালঙ্ঘন। এতে গুনাহ ছাড়া কিছু্ই বৃদ্ধি পাবে না। তাই কোনো মসজিদে যিকরের নামে এ ধরণের গর্হিত ও বিদ‘আতী কাজ হতে দেয়া ঠিক না।
(১৮) মসজিদের ভিতরে, দরজায় বা তার নিকটে অবস্থান করে এমন কিছু করা যাবে না যা মসজিদে অবস্থানরত মুসল্লীর সালাত, তিলাওয়াতে, তাসবীহ, তাহলীল, দু‘আ বা তালিমে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।
(১৯) মসজিদে কারোর জন্য কোনো স্থান বা কামরা নির্দিষ্ট করা জায়িয নেই। যেমন রাজা-বাদশাহ বা মসজিদের খতিব, ইমাম ও মুয়াজ্জিনের জন্য বিশেষ কামরা রাখা। ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রহঃ) বলেনঃ আমরা আয়িম্মায়ে কিরাম মসজিদে কারো জন্য বিশেষ কামরা তৈরি করা অপছন্দ করেছেন। যেমস কতিপয় দেশের রাজা-বাদশাহরা কেবল মাত্র নিজেরা সালাত আদায় করার জন্য ঐ ধরণের কামরা তৈরী করে থাকেন। এছাড়া মসজিদে বসবাস, রাত্রী যাপন এবং আসবাবপত্র রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মসজিদের (ইমাম, খতীব, মুয়াজ্জিন, মুতাওয়াল্লি বা অন্য কারো জন্য) বিশেষ কামরা তৈরী করাকে কোন্ মুসলিম অনুমতি দিয়েছেন বলে তা জানা নেই। কারণ এ ধরণের কাজ মাসজিদকে হোটেল ও বাসস্থানের সাদৃশ্য করে, যেখানে বিশেষ কামরা থাকে। কিন্তু মাসজিদ তো সকল মুসলিমের জন্য, এখানে কারো জন্য কোনো কিছু নির্দিষ্ট করা যাবে না। তবে কোনো শারঈ আমলের জন্য কিছু সময় মসজিদের কোনো স্থানে অবস্থানের কথা ভিন্ন। যেমন কেউ মসজিদে আগে উপস্থিত হয়ে মসজিদে কোনো অংশে অবস্থান করে সালাত আদায়, তিলাওয়াত, যিকর, তালিম, ই‘তিকাফ বা অনুরূপ আমল করতে থাকলো। এমতাবস্থায় আমল শেষ না হওয়া পর্যন্ত উক্ত স্থানে অবস্থানে তিনি হবেন বেশী হকদার, যেহেতু তিনি আগে এসেছেন। তাই কারো জন্যই উচিত হবে উক্ত ব্যক্তিকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসে যাওয়া। কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো ব্যক্তিকে তার বসার স্থান থেকে উঠিয়ে দিতে নিষেধ করেছেন। ঐ ব্যক্তি যদি উযু করতে যান তাহলেও তিনি উক্ত স্থানের অধিক হকদার হবেন। কেননা হাদীসে আছেঃ কোনো ব্যক্তি তার স্থান থেকে উঠে গিয়ে পুনরায় ফিরে এলে সেই হবে উক্ত স্থানের বেশী হকদার।
কিন্তু মসজিদে কারো জন্য নির্দিষ্ট কোনো ঘর বা জায়গা নির্ধারণ করা যেমন নাকি মানুষেরা তাদের ঘর-বাড়িতে করে থাকে মুসলিমদের ঐক্যমতে মসজিদে এরূপ করা বড় ধরণের গর্হিত ও অন্যায় কাজ। আর এর সাথে ইতিকাফের তুলনা করা যাবে না। কারণ ই‘তিকাফ একটি শারঈ ইবাদাত। যা নির্দিষ্ট কয়েকদিনের জন্য মসজিদে এক কোণে করা সুন্নাত। এ জন্য মসজিদে নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থানের অনুমতি ইসলামে আছে। তাছাড়া ই‘তিকাফকারী বিনা প্রয়োজনে মাসজিদ থেকে বের হতে পারবে না।’ এবং আল্লাহর নৈকট্য এনে দেয় কেবল এমন কাজে তিনি মশগুল থাকবেন ইত্যাদি শর্ত তার জন্য রয়েছে। কিন্তু যারা মসজিদের কোনো অংশে কামরা বানিয়ে অবস্থান করেন, তারা ই‘তিকাফকারী নন, বরং তারা বিবিধ কাজে মশগুল হয়ে যান এমন কি শারী‘আত সমর্থন করে না এমন কাজেও। ঐ নির্দিষ্ট কামরা বা স্থানে অবস্থানকারী উক্ত স্থানে অন্যদেরকে বিভিন্ন ইবাদাত করতে নিষেধ করে থাকেন (অথচ ইবাদাতের জন্য মাসজিদ নির্মিত হয়েছে) এ বলে যে, এটা আমার বা তার ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট, সুতরাং এখানে ছাড়া অন্যত্র সালাত, তিলাওয়াত, যিকর ইত্যাদি করতে পারো। এরূপ কাজ কয়েকটি কারণে গর্হিত ও অন্যায়। ১. মাসজিদকে রাত্রি যাপন, বসবাস ও আলাপচারিতার স্থানরূপে গ্রহণ করা। যেমন ঘর-বাড়ি ও হোটেলে হয়ে থাকে। ২. অন্যদের সেখানে কুরআন তিলাওয়াত বা শারঈ কাজে বাধাদান। ৩. কাউকে বাদ দিয়ে কাউকে নিষেধ করণ। যদি এ যুক্তি পেশ করা হয় যে, সেটা তাদের অবস্থানস্থল বলেই তারা ঐ কামরায় কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি করে থাকে, কিন্তু আপনি তো তাদের অন্তর্ভুক্ত নন। এ ধরণের ওযর নিষেধকরণের চাইতেও ঘৃণ্য। মসজিদে কোনো স্থান নির্দিষ্ট করলেই সেটা তার হয়ে যায় না। বরং মসজিদে পুরটাই যে কোনো মুসলিমের ইবাদাতের স্থান। এখানে কারো জন্য আলাদা কিছু হবে না- (দেখুন, ফাতাওয়াহ ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ)।
উপরোক্ত আলোচনার প্রতীয়মান হলো, মসজিদে সালাত আদায় করার জন্য কারো জন্য আলাদা কামরা হবে না। যদি প্রয়োজনে করতেই হয় তাহলে মসজিদে এমন স্থানে করা উচিত যেখানে মুসল্লীরা সালাত আদায় করেন না। যেমন সিড়ির নীচে বা মাসজিদ সংলগ্ন কোনো স্থান ইত্যাদি। আল্লাহই অধিক জ্ঞাত।
মসজিদে যেসব কাজ বৈধ।
বিভিন্ন হাদীস ও বর্ণনা দ্বারা জানা যায় যে, মসজিদে নিম্নের কাজগুলো করা বৈধ। (১) সালাত আদায়, তাসবীহ, তাহলীল, তিলাওয়াত, দু‘আ, খুৎবা ইত্যাদি। মাসজিদ তো এ কাজের জন্যই নির্মাণ করা হয়।
(২) কুরআন, হাদীস ও শারঈ মাসআলাসমূহ শিখা এবং শিক্ষা দেয়া- (আহমাদ, ইবনু মাজাহ ও অন্যান্য)। এর উপর ভিত্তি করে মসজিদে ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র করা ওয়াজিব। যেমন মকতব, মাদ্রাসা ইত্যাদি। তবে মসজিদে ছাত্রাবাস করা উচিত নয়। যেমন ছাত্রদের নিয়মিত সেখানে রাত্রি যাপন, ঘুমানো, খাওয়া দাওয়া, গোসল করা ইত্যাদি। যেমনটি ঘর-বাড়িতে হয়ে থাকে। এরূপ বর্জন করা উচিত। কেউ কেউ বলেছেন, অন্যত্র জায়গা না থাকলে ওযর হিসেবে তা করা যেতে পারে।
(৩) দ্বীনি জলসার জন্য একত্রিত হওয়া, গোল হয়ে বসা। (সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম, তিরমিযী)।
(৪) কোনো অভাবী ব্যক্তির (বা ধর্মীয় ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের) জন্য সাহায্য চাওয়া, কাউকে সাদাকা দেয়া। (আবূ দাঊদ, নায়ল)।
(৫) মসজিদে পানাহরা করা। তবে কখনো কখনো, সর্বদা এরূপ করা অনুচিত। অনুরূপভাবে মসজিদে কারো দাওয়াত গ্রহণ করা, কাউকে খাবারের দাওয়াত দেয়াও বৈধ। (ইবনু মাজাহ, আবূ দাঊদ, নায়ল)।
(৬) মসজিদে ঘুমানো। যদিও সে যুবক হয়- (সহীহুল বুখারী, নাসায়ী, আবূ দাঊদ, আহমাদ, নায়ল ও অন্যান্য)। জমহুর ‘উলামায়ি কিরাম (অধিকাংশ ‘আলিম) মসজিদে ঘুমানো জায়িয বলেছেন। যেহেতু এ ব্যাপারে বহু সহীহ হাদীস রয়েছে। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে ঘুমানোর পক্ষে। ইমাম মালিক (রহঃ) বলেনঃ যার ঘর নেই সে ঘুমাবে, কিন্তু যার থাকার জায়গা আছে সে ঘুমাবে না। ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রহঃ) বলেনঃ মুসাফির মসজিদে ঘুমাতে পারবে, এছাড়া অন্য কারো প্রয়োজন ছাড়া মসজিদে না ঘুমানোই উত্তম। উল্লেখ্য, মসজিদের মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বা মসজিদে শালীন পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশংকা হলে মুসাফির বা অন্য কাউকে মসজিদে রাত্রি যাপনে অনুমতি না দেয়া দোষণীয় নয়।
(৭) অস্ত্র নিয়ে মসজিদে প্রবেশ বৈধ। তবে খেয়াল রাখতে হবে, অস্ত্রের দ্বারা কোনো মুসলিম যেন আঘাতপ্রাপ্ত না হন। (সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম, আবূ দাঊদ)।
(৮) মসজিদে দেনা পরিশোধের জন্য তাগাদা দেয়া ও চাপ সৃষ্টি করা, কয়েদি বা দেনাদারকে মসজিদের খুঁটিতে বেঁধে রাখা। (সহীহুল বুখারী, সহীহ মুসলিম, আহমাদ)।
(৯) মসজিদে সম্পদ, মালামাল বা কোনো কিছু বণ্টন করা। (সহীহুল বুখারী)।
(১০) মসজিদে বিচার ফায়সালা করা ও স্বামী-স্ত্রীর মাঝে লি‘আন করা। (সহীহুল বুখারী)।
(১১) যুদ্ধাহত, রোগী (অন্যত্র জায়গা না থাকলে) ও রামাযান মাসে ই‘তিক্বাফকারীর জন্য মসজিদে তাঁবু স্থাপন করা, মসজিদে চিত হয়ে পা প্রসারিত করে বা এক পায়ের উপর আরেক পা রেখে শোয়া জায়িয। (সহীহুল বুখারী ও অন্যান্য)।
(১৩) মসজিদের জন্য খাদিমু নিযুক্ত করা, প্রয়োজন বোধে মসজিদে তালা লাগানো এবং মসজিদে পুরুষদের প্রবেশের দরজা ছাড়াও মহিলাদের জন্য আলাদা প্রবেশপথ রাখা জায়িয। (সহীহুল বুখারী ও অন্যান্য)।
(১৪) মসজিদে মিম্বারে দাঁড়িয়ে ব্যবসা বাণিজ্য সম্পর্কে শারঈ নির্দেশনা, মদের ব্যবসা হারাম ঘোষণা, বা মসজিদে এমন কবিতা পাঠ যাতে ইসলামের বড়ত্ব ও কাফিরদের যুক্তিখন্ডন নিহীত রয়েছে। (সহীহুল বুখারী)।
(১৫) জুতা পরে মসজিদে ঢোকা, সালাত আদায়ের স্থানে হাঁটা। যেমন সাহাবায়ি কিরাম মসজিদে নাববীতে জুতা পরে হাঁটতেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, জুতায় কোনো ময়লা বা নাপাকী লেগে আছে কি না। লেগে থাকলে তা পরিষ্কার করে নিবে, যেমনটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশ করেছেন। (কুতুবুস সুনান ও অন্যান্য)।
(১৬) মসজিদে মিসওয়াক করা, উযু করা, দাঁড়ি ঝারা, প্রয়োজনে নিজের কাপড়ে, বাম পার্শ্বে (কেউ না থাকলে) বা পায়ের নীচে থুতু ফেলা তা ঘসে মুছে ফেলা জায়িয। যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত ও ইমামগণের ঐক্যমতের দ্বারা প্রমাণিত। (ফাতাওয়াহ ইবনু তাইমিয়্যাহ)।
باب فِي كَرَاهِيَةِ إِنْشَادِ الضَّالَّةِ فِي الْمَسْجِدِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ الْجُشَمِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يَزِيدَ، حَدَّثَنَا حَيْوَةُ، - يَعْنِي ابْنَ شُرَيْحٍ - قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الأَسْوَدِ، - يَعْنِي مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ نَوْفَلٍ - يَقُولُ أَخْبَرَنِي أَبُو عَبْدِ اللهِ، مَوْلَى شَدَّادٍ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ سَمِعَ رَجُلاً يَنْشُدُ ضَالَّةً فِي الْمَسْجِدِ فَلْيَقُلْ لَا أَدَّاهَا اللهُ إِلَيْكَ فَإِنَّ الْمَسَاجِدَ لَمْ تُبْنَ لِهَذَا " .
- صحيح : م