পরিচ্ছেদঃ ১৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - বাধাগ্রস্ত হওয়া এবং হজ্জ ছুটে যাওয়া
২৭১০-[৪] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের জন্য রসূলুলাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাত কি যথেষ্ট নয়? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যদি তোমাদের কাউকে (’আরাফার অবস্থান হতে) হজে আটকে রাখা হয় তবে সে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ও সাফা মারওয়ায় সা’ঈ করবে। অতঃপর আগামী বছরে হজ্জ/হজ করা পর্যন্ত সব জিনিস হতে হালাল হয়ে যাবে। (সা’ঈর পর) সে কুরবানীর পশু যাবাহ করবে অথবা যদি কুরবানীর পশু না পায় তবে সিয়াম পালন করবে। (বুখারী)[1]
بَابُ الْإِحْصَارِ وَفَوْتِ الْحَجِّ
وَعَن ابنِ عمَرَ أَنَّهُ قَالَ: أَلَيْسَ حَسْبُكُمْ سُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ إِنْ حُبِسَ أَحَدُكُمْ عَنِ الْحَجِّ طَافَ بِالْبَيْتِ وَبِالصَّفَا وَالْمَرْوَةِ ثُمَّ حَلَّ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ حَتَّى يَحُجَّ عَامًا قَابِلًا فَيَهْدِيَ أَوْ يَصُومَ إِنْ لَمْ يَجِدْ هَديا. رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: (أَلَيْسَ حَسْبُكُمْ سُنَّةِ رَسُولِ اللّٰهِ ﷺ؟) ‘‘তোমাদের জন্য কি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাতই যথেষ্ট নয়।’’ এর দ্বারা ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর উদ্দেশ্য হলো বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ইহরাম থেকে হালাল হওয়ার জন্য ইহরাম বাঁধার সময় শর্ত করা জরুরী নয়। কেননা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হুদায়বিয়াতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ইহরাম থেকে হালাল হয়েছিলেন অথচ তিনি ইহরাম বাঁধার সময় এ শর্ত করেননি যে, আমি যদি বাধাপ্রাপ্ত হই তাহলে সেখানেই হালাল হব।
ইমাম বায়হাক্বী বলেনঃ ইবনু ‘উমার যদি যুবা‘আহ্ বর্ণিত হাদীস জানতে পারতেন তাহলে ইহরাম বাধার সময় শর্তারোপ করার বিষয় অস্বীকার করতেন না।
ثم حل) أي بالحلق والذبح (من كل شيء)) অতঃপর সবকিছু থেকেই হালাল হয়ে যাবে। মাথা মুড়িয়ে ও কুরবানীর পশু যাবাহ করে ইহরাম অবস্থায় হারামকৃত সকল বিষয় থেকে হালাল হয়ে যাবে।
(فَيَهْدِىَ) ‘‘অতঃপর একটি ছাগল যাবাহ করবে।’’ কেননা হালাল হওয়ার নিয়্যাত এবং কুরবানীর পশু যাবাহ করা ও মাথা মুড়ানো ছাড়া হালাল হওয়া যায় না।
(أَوْ يَصُوْمَ إِنْ لَمْ يَجِدْ هَدْيًا) ‘‘পশু যাবাহ করতে সামর্থ্য না হলে সিয়াম পালন করবে।’’ এ সিয়াম সফররত অবস্থায় করা যাবে। সফর থেকে ফিরে বাড়ীতে এসেও করা যাবে।
(حَتّٰى يَحُجَّ عَامًا قَابِلًا) ‘‘পরবর্তী বৎসর পুনরায় হজ্জ/হজ করবে।’’ হাদীসের এ অংশ দ্বারা প্রমাণ পেশ করা হয় যে, বাধাপ্রাপ্ত হয়ে হালাল হলে তার জন্য পুনরায় হজ্জ/হজ করা ওয়াজিব। এ বিষয়ে ‘আলিমদের মাঝে মতভেদ রয়েছে। হানাফীদের মতে কাযা করা ওয়াজিব। অত্র হাদীস তাদের দলীল।
শাফি‘ঈ ও মালিকীদের মতে তা ওয়াজিব নয়। তবে এ হজ্জ/হজ যদি ফরয হজ্জ/হজ হয়ে থাকে তাহলে তার ওপর ফরয হজ্জ/হজ পূর্বের অবস্থায়ই থাকবে। অর্থাৎ- তাকে অবশ্যই ফরয হজ্জ/হজ পুনরায় সম্পাদন করতে হবে। আর এটিই সঠিক।