হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২৬৬৯

পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরবানীর দিনের ভাষণ, আইয়্যামে তাশরীক্বে পাথর মারা ও বিদায়ী তাওয়াফ করা

২৬৬৯-[১১] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মদীনাহ্ হতে রওয়ানা হবার রাতেই বিবি সফিয়্যাহ্ ঋতুমতী হয়ে পড়লেন। তিনি (সফিয়্যাহ্) বললেন, আমার মনে হয় আমি আপনাদেরকে আটকে দিলাম। (এ কথা শুনে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ধ্বংস হোক, নিপাত যাক। সে কি কুরবানীর দিন তাওয়াফ (ইফাযাহ্) করেনি? বলা হলো, হ্যাঁ, করেছে। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তবে রওয়ানা হও। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابٌ خُطْبَةُ يَوْمِ النَّحْرِ وَرَمْىِ أَيَّامِ التَّشْرِيْقِ وَالتَّوْدِيْعِ

وَعَن عائشةَ قَالَتْ: حَاضَتْ صَفِيَّةُ لَيْلَةَ النَّفْرِ فَقَالَتْ: مَا أُرَانِي إِلَّا حَابِسَتَكُمْ. قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عَقْرَى حَلْقَى أَطَافَتْ يَوْمَ النَّحْرِ؟» قيل: نعم. قَالَ: «فانفري»

ব্যাখ্যা: (صَفِيَّةُ) অর্থাৎ- তিনি হচ্ছেন উম্মুল মু’মিনীন সফিয়্যাহ্ বিনতু হুয়াই বিন আখতাব বিন সা‘নাহ্ বিন সা‘লাবাহ্ আল ইসরাঈলিয়্যাত বিন সাবত্বিল লাবী বিন ইয়াকুব (আঃ)-এর বংশধর অতঃপর মূসা (আঃ)-এর সহোদর হারূন (আঃ)-এর বংশধর। তিনি জাহিলী যুগে সাল্লাম বিন মাশকাম আল ইয়াহূদীর স্ত্রী ছিলেন। তারপর কিনানাহ্ বিন আবিল হাক্বীক্ব তাকে বিবাহ করে এ দু’ স্বামীই ছিল কবি। পরে তার স্বামী কিনানাহ্ খায়বার যুদ্ধে নিহত হয়। সেটা ছিল ৭ম হিজরীতে সে সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বার বিজয় করেন। সফিয়্যাহ্ (রাঃ) ছিলেন বন্দীদের মধ্যে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে নিজের জন্য পছন্দ করেন এবং তিনি ইসলাম গ্রহণ করলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে মুক্ত করে তাকে বিবাহ করেন। আর সেটা ছিল ৭ম হিজরীতে খায়বার যুদ্ধের পর। কেউ কেউ বলেছেন তার নাম ছিল যায়নাব আর ইসলাম গ্রহণ করে যখন পরিষ্কার হয়ে যান তখন তার নামকরণ করা হয় সফিয়্যাহ্। তিনি খুবই বুদ্ধিমতি সহনশীলা মহিলা ছিলেন। ৫০ অথবা ৫২ হিজরীতে খালিদ মু‘আবিয়াহ্ (রাঃ)-এর যুগে তিনি রমাযান মাসে মৃত্যুবরণ করেন। কেউ বলে থাকেন তিনি ৩৬ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেছেন কিন্তু তা ভুল। ‘আলী বিন হুসায়ন সফিয়্যাহ্ (রাঃ)-এর নিকট থেকে হাদীস শুনেছেন যা সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিমে রয়েছে আর তিনি যদি ৩৬ হিজরীতে মারা যেয়ে থাকেন তাহলে কিভাবে হয়? কারণ ‘আলী বিন হুসায়ন তো তখন জন্মগ্রহণই করেননি। সফিয়্যাহ্ (রাঃ) থেকে বুখারী ও মুসলিমে (سماعه) শ্রবণ সাব্যস্ত হয়েছে। ৬০ বছর বয়সে সফিয়্যাহ্ (রাঃ)-কে বাক্বী‘ আল গরকাদে দাফন করা হয়েছে।

(حَاضَتْ) হাফিয ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেনঃ যিলহজ্জ মাসের ১০ তারিখ কুরবানীর দিন তাওয়াফে ইফাযাহ্’র তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঋতুবতী হয়েছিলেন, যেমনটি বুখারীতে বর্ণিত হয়েছে ‘কুরবানীর দিন যিয়ারত’ অধ্যায়ে।

(عَقْرٰى) এর ব্যাখ্যায় কেউ বলেন, আল্লাহ সফিয়্যাহ্ (রাঃ)-কে বন্ধ্যা বানিয়ে দিন। (حَلْقٰى) এর ব্যাখ্যায় কেউ বলেন, আল্লাহ সফিয়্যাহ্ (রাঃ)-কে মাথা মুন্ডিয়ে দিন। এ উভয় গুণটি মহিলাদের সৌন্দর্যের প্রতীক।

(أَطَافَتْ يَوْمَ النَّحْرِ) বুখারীর অন্য রিওয়ায়াতে রয়েছে, অতঃপর আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ كنت طفت يوم النحر؟ قالت: نعم (قال: فانفري)।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ