পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - মাথার চুল মুণ্ডন করার প্রসঙ্গে
২৬৪৭-[২] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মু’আবিয়াহ্(রাঃ) আমাকে বলেছেন, আমি মারওয়ার কাছে কাঁচি দিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মাথার চুল ছেঁটেছি। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ الْحَلْقِ
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ لِي مُعَاوِيَةُ: إِنِّي قَصَّرْتُ مِنْ رَأْسِ النَّبِيِّ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عِنْد الْمَرْوَة بمشقص
ব্যাখ্যা: হাদীসের ভাষ্য হলো মু‘আবিয়াহ্ (রাঃ) ইবুন ‘আব্বাস (রাঃ) কে বললেন যে, তিনি মারওয়াতে কাঁচি দ্বারা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চুল ছোট করে দিয়েছেন। এ হাদীস দ্বারা ঐ সকল ব্যক্তিগণ দলীল পেশ করেছেন যারা মাথা মুন্ডানোর ন্যায় মাথার কিছু চুল ছোট করাকে যথেষ্ট মনে করেন। কেননা, (قَصَّرْتُ مِنْ رَأْسِ) বাহ্যিকভাবে কিছু অর্থ বোঝাচ্ছে। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো চুল ছোট করার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি না করা এমনভাবে যাতে চুলের গোড়া পর্যন্ত কেটে নেয়া হয়। এটি উদ্দেশ্য নয় যে, মাথার কিছু অংশ কেটে এবং কিছু অংশ ছেড়ে দিলেই যথেষ্ট হবে।
ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেন, এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, চুল শুধুমাত্র ছোট করাও বৈধ যদিও মাথা মুন্ডানো উত্তম। আর এ ক্ষেত্রে হজ্জ/হজ এবং ‘উমরা পালনকারী উভয়েই সমান। তবে তামাত্তু' হজ্জ/হজ পালনকারীর জন্য মুস্তাহাব হল ‘উমরাতে মাথার চুল ছোট করা আর হজ্জে মাথা মুন্ডানো যাতে হজ্জ/হজ মাথা মুন্ডানোটা দু’টি ‘ইবাদাতের মধ্যে যেটি পূর্ণাঙ্গ সেটির ক্ষেত্রে সংঘটিত হয়। ‘উমরা পালনকারী মারওয়াতে তার মাথার চুল ছোট করবে বা মাথা মুন্ডাবে যেহেতু সেটি তার হালাল হওয়ার স্থান। আর হজ্জ/হজ পালনকারী মিনা প্রান্তরে তার মাথা মুন্ডাবে বা মাথার চুল ছোট করবে। যেহেতু সেটি তার হালাল হওয়ার স্থান। অতঃপর এ হাদীসে একটি জটিলতা রয়েছে যে, মু‘আবিয়াহ্ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চুল ছোট করেছেন মর্মে যে সংবাদ দিয়েছেন তা হজ্জে ছিল, না ‘উমরায় ছিল। কারণ হজ্জে মাথা মুন্ডানো বা মাথার চুল ছোট করা হয়, মিনায় মারওয়ায় নয়। তাহলে তা ছিল ‘উমরায়। তবে তা কোন্ ‘উমরায় ছিল এ নিয়ে মুহাদ্দিসগণ মতবিরোধ করেছেন এবং প্রত্যেকে তার বক্তব্যের পিছনে দলীল দিয়েছেন। তবে সঠিক বক্তব্য হলো তা ছিল ‘উমরাতুল জি‘রানাহ্-তে যেমনটি ইমাম নাবাবী, ইমাম ত্ববারী ও ইমাম ইবনুল ক্বইয়্যিম (রহঃ) বলেছেন।