পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মক্কায় প্রবেশ করা ও তাওয়াফ প্রসঙ্গে
২৫৭৮-[১৮] উক্ত রাবী [ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)] হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজারে আসওয়াদ সম্পর্কে বলেছেন, আল্লাহর কসম! কিয়ামতের দিন আল্লাহ এটিকে উঠাবেন, তখন এর দু’টি চোখ থাকবে যা দিয়ে সে দেখতে পাবে। তার একটি জিহ্বা থাকবে ও এই জিহবা দিয়ে সে কথা বলবে এবং যে তাকে ঈমানের সাথে চুমু দিয়েছে তার পক্ষে সাক্ষ্য দেবে। (তিরমিযী, ইনু মাজাহ ও দারিমী)[1]
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحَجَرِ: «وَاللَّهِ لَيَبْعَثَنَّهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لَهُ عَيْنَانِ يُبْصِرُ بِهِمَا وَلِسَانٌ يَنْطِقُ بِهِ يَشْهَدُ عَلَى مَنِ اسْتَلَمَهُ بِحَقٍّ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه والدارمي
ব্যাখ্যা: (وَلِسَانٌ يَنْطِقُ بِه) তুরবিশতী (রহঃ) বলেনঃ মৃত্যুর পরে পুনরুত্থান, যা মানুষের জন্য নির্দিষ্ট। এমনিভাবে পাথরকেও তিনি জীবন দিতে সক্ষম যাতে সে কথা বলতে পারে। আর তাকে বাকশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি দিবেন যাতে সে পার্থক্য করতে পারে- কে প্রকৃত স্পর্শকারী আর কে নয়? আর এই দু’টি যন্ত্র হল- চক্ষু ও জিহবা।
(يَشْهَدُ عَلٰى مَنِ اسْتَلَمَه بِحَقٍّ) স্পর্শকারী শুধু স্পর্শ করবে তার নিজের জন্য এমনটি যেন না হয়, বরং আল্লাহর নির্দেশ ও সুন্নাতের অনুসরণ যেন ‘আমল করা উদ্দেশ্য হয়। ইমাম ‘ইরাকী বলেনঃ এখানে عَلٰى শব্দটি لام এর অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে স্পর্শ করার সাক্ষ্য হিসেবে, যাতে সংরক্ষণ করা বুঝায়।
(بِحَقٍّ) প্রকৃতপক্ষেই তা হবে ঈমান ও সাওয়াবের আশায়। এ হাদীসকে বাহ্যিক অর্থের উপরই বুঝানো হয়। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বস্ত্তর ক্ষেত্রে বাকশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে সক্ষম যেমনটি তিনি মানুষের ক্ষেত্রে করবেন। আর যাদের অন্তরে বক্রতা আছে তারা এর অপব্যাখ্যা করে। তারা বলে, مستلم (স্পর্শকারী) ব্যক্তির প্রতিদান দেয়ার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে।