পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - মক্কায় প্রবেশ করা ও তাওয়াফ প্রসঙ্গে
২৫৭৬-[১৬] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বায়তুল্লাহর চারদিকে তাওয়াফ করা সালাতেরই মতো, তবে এতে তোমরা কথা বলতে পারো। তাই তাওয়াফের সময় ভালো কথা ব্যতীত আর কিছু বলবে না। (তিরমিযী, নাসায়ী ও দারিমী)[1]
ইমাম তিরমিযী (রহঃ) একদল মুহাদ্দিসের নাম উল্লেখ করেছেন যারা এ হাদীসকে ইবনু ’আব্বাস-এর উক্তি (মাওকূফ) বলে উল্লেখ করেছেন।
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الطَّوَافُ حَوْلَ الْبَيْتِ مِثْلُ الصَّلَاةِ إِلَّا أَنَّكُمْ تَتَكَلَّمُونَ فِيهِ فَمَنْ تَكَلَّمَ فِيهِ فَلَا يَتَكَلَّمَنَّ إِلَّا بِخَيْرٍ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَالدَّارِمِيُّ وَذَكَرَ التِّرْمِذِيُّ جَمَاعَةً وَقَفُوهُ عَلَى ابْنِ عباسٍ
ব্যাখ্যা: ইমাম তিরমিযী (রহঃ) একদল মুহাদ্দিসের নাম উল্লেখ করেছেন, যারা এ হাদীসটিকে ইবনু ‘আব্বাস-এর উক্তি (মাওকূফ) হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন।
‘বায়তুল্লাহর চারদিকে তাওয়াফ করা সালাতের মতো’ এর অর্থ এই নয় যে, সালাতে যেমন কিরাআত, রুকূ‘, সিজদা্ ইত্যাদি আছে তেমনিভাবে তাওয়াফের মধ্যেও এগুলো আছে। তবে শরীর পাক, কাপড় পাক ও সতর ঢাকা যেমনিভাবে সালাতের জন্য অপরিহার্য, তেমনিভাবে তাওয়াফের জন্যও অপরিহার্য। এদিক দিয়ে তাওয়াফ সালাতের সাদৃশ্য। এ হাদীসের ভিত্তিতে ইমামগণ বলেছেন পবিত্রতা তাওয়াফের জন্য শর্ত। কিন্তু হানাফীদের নিকট শর্ত নয় বরং উত্তম।
আলোচ্য হাদীসে তাওয়াফের মধ্যে উত্তম কথা বলা বৈধ হওয়ার ব্যাপারে দলীল। উত্তম কথা হলো যিকির, তিলাওয়াত, দীনী ‘ইলম শিক্ষা করা বা শিক্ষা দেয়া ইত্যাদি। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে তার এ সকল কাজে যেন অপরের কষ্ট না হয়। যদি কারো তাওয়াফ চলাকালীন সময় হাদাস (অপবিত্র) হয়ে যায়, তাহলে নতুন করে উযূ করে পুনরায় তাওয়াফ শুরু করতে হবে।