পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৫৩৮-[৩৪] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তুমি কোন হাজীর সাক্ষাৎ পাবে তাকে সালাম দিবে, মুসাফাহা করবে আর তাকে অনুরোধ জানাবে, তিনি যেন তোমার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান তার ঘরে প্রবেশের পূর্বেই। কারণ তিনি (হাজী) ক্ষমাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। (আহমাদ)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا لَقِيتَ الْحَاجَّ فَسَلِّمْ عَلَيْهِ وَصَافِحْهُ وَمُرْهُ أَنْ يَسْتَغْفِرَ لَكَ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بَيْتَهُ فَإِنَّهُ مَغْفُورٌ لَهُ» . رَوَاهُ أَحْمد
ব্যাখ্যা: (مُرْهُ أَنْ يَسْتَغْفِرَ لَكَ قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بَيْتَه) ‘‘তার স্বীয় আবাসে প্রবেশের পূর্বেই তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন করো’’। কেননা সে বাড়ীতে প্রবেশের পরে হয়ত বিভিন্ন বিষয়ে জড়িয়ে পড়বে। ‘আল্লামা মানাবী বলেনঃ হাজীর সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে সালাম করা, তার সাথে মুসাফাহ করা এবং তার নিকট দু‘আর আবেদন করা মুস্তাহাব। হাদীসের প্রকাশমান অর্থ এই যে, তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন তার স্বীয় আবাসে প্রবেশের পূর্বের সময়ের সাথে সম্পৃক্ত। অতএব সে স্বীয় আবাসে প্রবেশ করার পর তা বাতিল হয়ে যাবে। তিনি এও বলেন যে, বাড়ীতে প্রবেশের পূর্বে দু‘আর আবেদন করা উত্তম।