পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
২৫০৬-[২] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে এ হাদীসটিও বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হলো, কোন্ ’আমল সর্বোত্তম? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের ওপর বিশ্বাস স্থাপন। আবার জিজ্ঞেস করা হলো, তারপরে কোন্ ’আমল? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা। আবারও জিজ্ঞেস করা হলো, এরপর কোনটি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ’হজ্জে মাবরুর’ অর্থাৎ- কবূলযোগ্য হজ্জ। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَنْهُ قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيُّ الْعَمَلِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: «إِيمَانٌ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ» قِيلَ: ثُمَّ مَاذَا؟ قَالَ: «الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ» . قِيلَ: ثُمَّ مَاذَا؟ قَالَ: «حَجٌّ مبرورٌ»
ব্যাখ্যা: (ثُمَّ مَاذَا؟) ‘‘অতঃপর কোন ‘আমল উত্তম।’’ অর্থাৎ- আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করার পর কোন কাজ উত্তম?’’ (الْجِهَادُ فِىْ سَبِيلِ اللّٰهِ) ‘‘আল্লাহর পথে জিহাদ করা’’। অর্থাৎ- আল্লাহর বিধানকে বিজয়ী করার জন্য কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা সর্বোত্তম ‘আমল।
(حَجٌّ مَبْرُوْرٌ) ‘‘কবূলযোগ্য হজ্জ/হজ’’। অর্থাৎ- আল্লাহর নিকট গৃহীত হজ্জ। হজ্জ কবূল হওয়ার আলামাত হলোঃ হজ্জ থেকে ফিরে আসার পর তার অবস্থা পূর্বের চাইতে ভাল হওয়া এবং গুনাহের কাজে পুনরায় লিপ্ত না হওয়া। ইমাম কুরতুবী বলেনঃ মাকবূল-এর বিভিন্ন অর্থ করা হয়ে থাকে যার সারমর্ম প্রায় একই, অতএব মাকবূল হজ্জ বলতে তাই বুঝায় যে হজে তার সকল নিয়মাবলী যথার্থ পালিত হয়েছে এবং হজ্জ সম্পাদনকারী ব্যক্তি তার ওপর করণীয় কার্যসমূহ পূর্ণাঙ্গভাবে সম্পাদন করেছে তাই হজ্জে মাবরূর তথা মাকবূল হজ্জ।
অত্র হাদীসে জিহাদকে হজ্জের পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে অথচ জিহাদ হলো ফারযে কিফায়াহ্ আর হজ্জ হলো ফারযে ‘আইন। এর কারণ এই যে, জিহাদের উপকারিতা ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে সমস্ত মুসলিম সমাজে প্রভাব ফেলে, পক্ষান্তরে হজের উপকারিতা শুধুমাত্র ব্যক্তির জন্যই প্রযোজ্য। তাছাড়া জিহাদের মধ্যে প্রাণ বিসর্জন দেয়ার বিষয়টি সংযুক্ত যা হজের মধ্যে নেই। তাই জিহাদের গুরুত্ব হজের তুলনায় অধিক। এজন্যই অত্র হাদীসে জিহাদকে আগে উল্লেখ করা হয়েছে লোকদেরকে ঐ কাজে উদ্বুদ্ধ করার জন্য।