পরিচ্ছেদঃ ৫. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - বিভিন্ন সময়ের পঠিতব্য দু‘আ
২৪৫৪-[৩৯] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন বিষয়ে চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়লে বলতেন, ’’ইয়া- হাইয়্যু, ইয়া কইয়ূমু বিরহমতিকা আস্তাগীস’’ (অর্থাৎ- হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! তোমার রহমতের সাথে আমি প্রার্থনা করছি)। (তিরমিযী; তিনি বলেন, হাদীসটি গরীব ও গায়রে মাহফূয)[1]
وَعَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا كَرَبَهُ أَمْرٌ يَقُولُ: «يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيثُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَلَيْسَ بِمَحْفُوظٍ
ব্যাখ্যা: ইবনু আল কইয়্যূম তাঁর ‘‘আত্ব ত্বিববীন্ নাবাবী’’তে এ রোগ প্রতিহতের ক্ষেত্রে তার কথার প্রভাবের ব্যাপারে বলেনঃ (يَا حَىُّ يَا قَيُّومُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيثُ) কেননা জীবনটা তার আবশ্যকীয় সমস্ত পরিপূর্ণ গুণাবলীর জিম্মাদার। আর চিরঞ্জীবির গুণটা সমস্ত কর্মের গুণাবলীর জিম্মাদার। এজন্য আল্লাহ তা‘আলার মহিমান্বিত নাম, যে নামেই তাকে ডাকা হোক না কেন, তিনি তাতে সাড়া দেন। যখন যে নামের মাধ্যমে যা-ই চাওয়া হবে তিনি তা দিবেন। তিনি ও তার নাম চিরঞ্জীব ও চিরপ্রতিষ্ঠিত। পূর্ণ জীবনে সকল ধরনের অসুস্থতা ও যন্ত্রণাকে প্রতিহত করে। আর এজন্য যখন জান্নাতবাসীদের জীবন পূর্ণতা লাভ করবে তখন তাদের চিন্তা, দুঃশ্চিন্তা বা কোন ধরনের বিপদ স্পর্শ করবে না।