পরিচ্ছেদঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সকাল সন্ধ্যা ও শয্যা গ্রহণকালে যা বলবে
২৩৯৩-[১৩] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন কন্যা হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে শিখাতেন এভাবে, যখন তুমি ভোরে বিছানা হতে উঠবে তখন বলবে,
’’সুবহা-নাল্ল-হি ওয়া বিহামদিহী, ওয়ালা- ক্যুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হি, মা-শা-আল্ল-হু কা-না, ওয়ামা-লাম ইয়াশা’লাম ইয়াকুন, আ’লামু আন্নাল্ল-হা ’আলা- কুল্লি শাইয়িন কদীর, ওয়া আন্নাল্ল-হা কদ আহা-ত্বা বিকুল্লি শাইয়িন ’ইলমা-’’
(অর্থাৎ- আল্লাহ তা’আলার প্রশংসার সাথে তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করছি, আল্লাহর শক্তি-সামর্থ্য ছাড়া কারো কোন শক্তি নেই। আল্লাহ যা চান তাই হয়, যা তিনি চান না তা হয় না। আমি জানি, আল্লাহ সমস্ত জিনিসের উপর ক্ষমতাবান। আর সব জিনিসই আল্লাহ তার জ্ঞানের মাধ্যমে ঘিরে রেখেছেন।)।
যে ভোরে উঠে এ দু’আ পড়বে সন্ধ্যা হওয়া পর্যন্ত সে (আল্লাহর) হিফাযাতে থাকবে। আর যে সন্ধ্যা হবার পর এ দু’আ পড়বে সে সকাল হওয়া (ঘুম হতে ওঠা) পর্যন্ত হিফাযাতে থাকবে। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ بَعْضِ بَنَاتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُعَلِّمُهَا فَيَقُولُ: قُولِي حِينَ تُصْبِحِينَ: سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ مَا شَاءَ اللَّهُ كَانَ وَمَا لَمْ يَشَأْ لَمْ يَكُنْ أَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا فَإِنَّهُ مَنْ قَالَهَا حِينَ يُصْبِحُ حُفِظَ حَتَّى يُمْسِيَ وَمَنْ قَالَهَا حِينَ يُمْسِي حُفِظَ حَتَّى يصبح . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: হাফেয আসকালানী (রহঃ) আত্ তাকরীব গ্রন্থে বলেনঃ তার নামের উপর হাদীসের গ্রহণযোগ্যতা থেমে থাকবে না। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যাগণ সকলেই সাহাবী ছিলেন, কাজেই নামের অজ্ঞতায় কোন ক্ষতি নেই। এ হাদীসটি নাসায়ী তার আল কুবরা গ্রন্থে এবং ইবনু সিনাইও বর্ণনা করেছেন। প্রত্যেকেই বানী হাশিম-এর দাস ‘আবদুল হামিদ (রহঃ)-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন, তিনি তাঁর মা থেকে বর্ণনা করেছেন। আর তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন এক কন্যার খিদমাত করতেন (খাদিমাহ্ ছিলেন)। অতএব নিশ্চয় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা তাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সেটা (উল্লেখিত দু‘আ) শিক্ষা দিতেন.....।