পরিচ্ছেদঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তা‘আলার রহমতের ব্যাপকতা
২৩৭৯-[১৬] সাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চায় আর সাধ্যাতীত চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে। তাই আল্লাহ তা’আলা জিবরীলকে বলেন, আমার অমুক বান্দা আমাকে সন্তুষ্ট করতে চায়। জেনে রাখো, তার প্রতি আমার রহমত আছে। তখন জিবরীল বলেন, অমুকের প্রতি আল্লাহর রহমত আছে, এ কথা বলতে থাকেন ’আরশ বহনকারী মালায়িকাহ্ (ফেরেশতা) (ফেরেশতাগণ), তাদের আশেপাশের মালায়িকাহ্ (ফেরেশতা)-ও। অবশেষে সপ্ত আকাশের অধিবাসীগণও অনুরূপ কথা বলেন। অতঃপর তার জন্য রহমত জমিনের দিকে নেমে আসতে থাকে। (আহমদ)[1]
وَعَنْ ثَوْبَانَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ الْعَبْدَ لَيَلْتَمِسُ مَرْضَاةَ اللَّهِ فَلَا يَزَالُ بِذَلِكَ فَيَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لجبريل: إِن فلَانا عَبدِي يتلمس أَنْ يُرْضِيَنِي أَلَا وَإِنَّ رَحْمَتِي عَلَيْهِ فَيَقُولُ جِبْرِيلُ: رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَى فُلَانٍ وَيَقُولُهَا حَمَلَةُ العرشِ ويقولُها مَن حَولهمْ حَتَّى يَقُولُهَا أَهْلُ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ ثُمَّ تَهْبِطُ لَهُ إِلى الأَرْض . رَوَاهُ أَحْمد
ব্যাখ্যা: (مَرْضَاةَ اللّٰهِ) ‘‘আল্লাহর সন্তুষ্টি’’। অর্থাৎ- বিভিন্ন প্রকার আনুগত্যের মাধ্যমে তার সন্তুষ্টি। (عَبْدِىْ) অর্থাৎ- মু’মিন ব্যক্তি (وَإِنَّ رَحْمَتِىْ) অর্থাৎ- আমার পরিপূর্ণ রহমাত।
(ثُمَّ تَهْبِطُ لَه إِلَى الْأَرْضِ) অর্থাৎ- জমিনবাসীর প্রতি রহমাত অবতীর্ণ হয়। কারী বলেন, তার প্রতি আল্লাহর ভালবাসা, অতঃপর জমিনে তার জন্য গ্রহণযোগ্যতা স্থাপন করা হয়। ইমাম ত্বীবী বলেন, এ হাদীসটি এবং ভালবাসার হাদীসটি কাছাকাছি।
ইমাম ত্বীবী ভালোবাসার হাদীস দ্বারা আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে মারফূ' সূত্রে বুখারী, মুসলিমে বর্ণিত হাদীস উদ্দেশ্য করেছেন। আর তা হল, নিশ্চয়ই আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে ভালোবাসেন তখন জিবরীলকে আহবান করে বলেন, নিশ্চয়ই আমি অমুককে ভালোবাসি, সুতরাং তুমিও তাকে ভালোবাস। অতঃপর জিবরীল তাকে ভালোবাসেন এরপর আকাশে ঘোষণা করে দেয়া হয় নিশ্চয়ই আল্লাহ অমুককে ভালোবাসেন। সুতরাং তোমরা তাকে ভালোবাস। অতঃপর আকাশবাসীরা তাকে ভালোবাসে, এরপর জমিনে তার জন্য গ্রহণযোগ্যতা স্থাপন করা হয়।