পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তা‘আলার রহমতের ব্যাপকতা
২৩৭৩-[১০] আবূ সা’ঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বান্দা যখন ইসলাম কবূল করে, তার ইসলাম খাঁটি হয়। (ইসলাম গ্রহণের কারণে) তার প্রায়শ্চিত্তস্বরূপ আল্লাহ তার পূর্বের সকল গুনাহ মিটিয়ে দেন। অতঃপর তার এক একটি নেক কাজের তার দশ গুণ হতে সাতশ’ গুণ, বরং অনেক গুণ পর্যন্ত লেখা হয়। আর পাপ কাজের জন্য একগুণ মাত্র। তবে আল্লাহ যাকে (ইচ্ছা) এ পাপ কাজকে ছেড়ে যান। (বুখারী)[1]
بَابُ سَعْةِ رَحْمَةِ اللهِ
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا أَسْلَمَ الْعَبْدُ فَحَسُنَ إِسْلَامُهُ يُكَفِّرُ اللَّهُ عَنْهُ كُلَّ سَيِّئَةٍ كَانَ زَلَفَهَا وَكَانَ بَعْدَ الْقِصَاصِ: الْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ إِلَى أَضْعَافٍ كَثِيرَةٍ وَالسَّيِّئَةُ بِمِثْلِهَا إِلَّا أَنْ يَتَجَاوَزَ اللَّهُ عَنْهَا . رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: (إِذَا أَسْلَمَ الْعَبْدُ) ‘‘বান্দা যখন ইসলাম গ্রহণ করে’’। এ হুকুমের মাঝে পুরুষ এবং মহিলা সকলে শামিল। এখানে প্রাধান্যের দিক বিবেচনায় (الْعَبْدُ) শব্দটিকে পুঃলিঙ্গ শব্দের মাধ্যমে উল্লেখ করেছেন।
(فَحَسُنَ إِسْلَامُه) এখানে حسن ক্রিয়ার سين বর্ণে পেশ দিয়ে হালকা উচ্চারণে। অর্থাৎ- বাহ্যিক ও গোপন সব মিলে তার ইসলাম উত্তমতায় পরিণত হল। سين বর্ণে তাশদীদ দিয়ে পড়াও সম্ভব যাতে তা (اَحْسَنُ اَحَدَكُمْ اِسْلَامِه) এ বর্ণনার অনুকূল হতে পারে। অর্থাৎ- উল্লেখিত বাহ্যিক ও গোপন সব মিলে তার ইসলামকে সুন্দর করল। ‘আয়নী বলেন, ‘ইসলাম সুন্দর হওয়া’ এর উদ্দেশ্য হল, বাহ্যিক ও গোপন সব দিক দিয়ে ইসলামে প্রবেশ করা। কেউ যখন পৃকতপক্ষে ইসলামে প্রবেশ করে তখন শারী‘আতের পরিভাষায় বলা হয় অমুকের ইসলাম সুন্দর হয়েছে। অর্থাৎ- বিশ্বাস ও নিষ্ঠায়, মুনাফিক না হয়ে বাহ্যিক ও গোপনে ইসলামে প্রবেশ করে তার ইসলাম উত্তমতায় পরিণত হয়েছে।
(كُلَّ سَيِّئَةٍ) ‘‘যা সে করেছে’’। অর্থাৎ- সগীরাহ্, কাবীরাহ্ প্রত্যেক গুনাহ।
(كَانَ زَلَفَهَا) খাত্ত্বাবী এবং তিনি ছাড়াও অন্যান্যগণ বলেন, অর্থাৎ- ইসলামের পূর্বে যা করেছে। মুহকাম-এ আছে, أَزْلَفُ الشَّيئ অর্থাৎ- সে তাকে নিকটবর্তী করল। আর তাশদীদ দ্বারা زلفه সে যা আগে করেছে। জামি‘তে আছে, ألزلفه কল্যাণ, অকল্যাণ উভয় ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। মাশারিক্বে বলেন, زلف তাশদীদবিহীন হালকা উচ্চারণে, অর্থাৎ- সে একত্রিত করল, উপার্জন করল- এটি দু’টি বিষয়কে শামিল করে। পক্ষান্তরে القرية শুধু কল্যাণের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে।
(وَكَانَ بَعْدَ) অর্থাৎ- ভালভাবে ইসলাম গ্রহণের পর অথবা গুনাহসমূহ মোচনের পর। بعد উক্তিটি মিশকাত, মাসাবীহ এর সকল কপিতে এসেছে। আর সহীহাতে যা আছে তা হল, وكان بعد ذلك এভাবে الجامع الصغير এর মাঝে এসেছে।
(الْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا) অর্থাৎ- পুণ্যের বদলা তার দশগুণ লেখা হবে। বাক্যটি নুতন যা قصاص এর ব্যাখ্যাস্বরূপ আর (الحسنة) এর মাঝে لام ব্যাপকতা বুঝানোর জন্য এসেছে যা (كتاب الإيمان) এ বিগত হওয়া আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত ৪৪ নং হাদীসে كل حسنة বাণীর উপর প্রমাণ বহন করছে। (إلى سبع مائة ضعف) অর্থাৎ- সাতশত গুণ পর্যন্ত তার পরিসমাপ্তি। (الى أضعاف كثيرة) অর্থাৎ- আল্লাহর তরফ থেকে তা অনুগ্রহ ও নিয়ামতস্বরূপ বহুগুণে সুবিস্তৃত। (والسيئة بمثلها) ‘‘গুনাহ তার সমপরিমাণ’’, অর্থাৎ- অধিক না করে সমতা ও রহমাতস্বরূপ। যেমন বলেছেন কেবল তার সমপরিমাণ বদলা তাকে দেয়া হবে।
(إِلَّا أَنْ يَتَجَاوَزَ اللّٰهُ عَنْهَا) অর্থাৎ- তবে আল্লাহ যদি তাওবাহ্ গ্রহণের মাধ্যমে তার পাপ থেকে পাশ কাটিয়ে যান অথবা ক্ষমা করার মাধ্যমে যদিও সে তাওবাহ্ না করে। এতে আহলুস্ সুন্নাহ্’র দলীল আছে যে, বান্দা আল্লাহর ইচ্ছার অধীনে যদি তিনি চান তাহলে তার পাপরাশিকে পাশ কাটিয়ে চলবেন, আর চাইলে তাকে পাকড়াও করবেন। আর কাবীরাহ্ গুনাহকারীদের জাহান্নামী হওয়ার বিষয় অকাট্যভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে যেমন মু‘তাযিলাহ্ সম্প্রদায় মনে করে থাকে। অতঃপর (الى اضعاف كثيرة) এভাবে মিশকাতের সকল কপিতে এসেছে আর তা লেখক অথবা কপি তৈরিকারীর অতিরিক্ত এবং বিনা সন্দেহে তা ভুল, কেননা তা সহীহুল বুখারীতে নেই, সুনানে নাসায়ীতেও তা আসেনি এবং তা জামি‘উস্ সগীর, মাসাবীহ এবং কান্য-এও (১ম খণ্ড ৬০ পৃষ্ঠাতে) তা আসেনি। ইমাম নাসায়ী তাঁর সুনানে কিতাবুল ঈমানে মাওসূলভাবে বর্ণনা করেছেন, হাসান বিন সুফ্ইয়ান তাঁর মুসনাদে, বাযযার বায়হাক্বী শু‘আবে ও ইসমা‘ঈলীতে। আর তা শব্দ ‘আবদুল্লাহ বিন নাফি‘-এর সানাদে তিনি মালিক থেকে, আর মালিক যায়দ বিন আসলাম থেকে আর তিনি ‘আত্বা বিন ইয়াসার থেকে আর ‘আত্বা আবূ সাঈ‘দ আল খুদরী থেকে বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বান্দা যখন ইসলাম গ্রহণ করবে তখন আল্লাহ তার জন্য প্রত্যেক ঐ পুণ্য কাজ লেখবেন যা সে পূর্বে করেছে এবং তার থেকে প্রত্যেক ঐ গুনাহসমূহ মিটিয়ে দিবেন যা সে পূর্বে করেছে। এরপর যখনই সে ভাল ‘আমল করবে তখন তার সাওয়াব দশগুণ থেকে সাতশত গুণ লিখতে বলা হবে। পক্ষান্তরে পাপের বদলা সে পরিমাণেই লিখতে বলা হবে। তবে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিলে তা আলাদা কথা। দারাকুত্বনী একে ‘মালিকিল গারায়িব’-এ নয়টি সানাদ কর্তৃক বর্ণনা করেছেন।
আর মালিক থেকে তালহা বিন ইয়াহ্ইয়া-এর সানাদে এর শব্দ হল, যে কোন বান্দা ইসলাম গ্রহণ করবে অতঃপর তার ইসলামকে সুন্দর করবে তাহলে আল্লাহ তার প্রত্যেক ঐ পুণ্য লিখবেন যা সে পূর্বে করেছিল এবং তার থেকে প্রত্যেক ঐ গুনাহ মিটিয়ে দিবেন যা সে পূর্বে করেছিল। নাসায়ীতেও অনুরূপ আছে, কিন্তু সেখানে زلف নেই ازلفها আছে যা সকল বর্ণনাতে প্রমাণিত হয়েছে, যা বুখারীর বর্ণনা থেকে পড়ে গিয়েছে। আর তা হল ইসলামের পূর্বে পূর্বোক্ত পুণ্যসমূহের লিখনী। আর তাঁর উক্তি كتب الله অর্থাৎ- আল্লাহ লিখার নির্দেশ দিবেন। দারাকুত্বনীতে মালিক থেকে ইবনু শু‘আয়ব-এর সানাদে আছে, আল্লাহ মালায়িকাহকে (ফেরেশতাকে) (ফেরেশতাগণের উদ্দেশে) বলবেন, তোমরা লিখ।
এক মতে বলা হয়েছে, বুখারী একে সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেছেন এবং অন্যেরা যা বর্ণনা করেছে তিনি তা ইচ্ছাকৃতভাবে ফেলে দিয়েছেন। কেননা তা নীতিমালা অনুযায়ী জটিল। অতঃপর আল মাযিরী বলেন, এরপর কাযী ‘ইয়ায ও অন্যান্যগণ বলেন, কাফির ব্যক্তি কর্তৃক নৈকট্যলাভ বিশুদ্ধ হবে না। সুতরাং শির্কের যুগে তার সৎকাজের উপর ভিত্তি করে তাকে সাওয়াব দেয়া হবে না। কেননা নৈকট্যলাভকারী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য শর্ত হল সে যার নৈকট্য লাভ করে তার সম্পর্কে তার জ্ঞাত থাকা। আর কাফির এ রকম না। সুতরাং তার নৈকট্যলাভ আশা করা যায় না। আর নাবাবী একে প্রত্যাখ্যান করেছেন। অতঃপর বলেছেন সঠিক ঐ মতটি যার উপর বিশ্লেষকগণ আছেন। বরং তাদের কতকে নকল করেছেন যাতে সকলের ঐকমত্য আছে যে, কাফির ব্যক্তি যখন আল্লাহর নৈকট্যলাভ করার জন্য সুন্দর কাজ করবে, যেমন- সদাকাহ্ করা, আত্মীয়তার সম্পর্ক ঠিক রাখা, দাস মুক্ত করা ইত্যাদি। অতঃপর ইসলাম গ্রহণ করবে ও ইসলামের উপর মারা যাবে তখন নিশ্চয়ই তার সাওয়াব তার জন্য লিখা হবে। এর দলীল, নাসায়ী, দারাকুত্বনী ও অন্যান্য হাদীস গ্রন্থে আবূ সাঈ‘দ আল খুদরীর হাদীস এবং সহীহায়নে হাকীম ইবনে হিযাম-এর হাদীস, নিশ্চয়ই তিনি আল্লাহর রসূলকে বললেন, আপনি কি ঐ বিষয়াবলীর কথা ভেবেছেন? জাহিলী যুগে আমি যে পুণ্য কাজ করতাম, তাতে আমার কি কিছু চাওয়া-পাওয়ার আছে? তখন আল্লাহর রসূল তাকে বললেন, তুমি অতীতে যা পুণ্য কাজ করেছ তার উপরই তুমি ইসলাম গ্রহণ করেছ।
কাফির অবস্থাতে ব্যক্তি থেকে যা প্রকাশ পেত যা ব্যক্তি ভাল হিসেবে ধারণা করত তার সাওয়াব ইসলামী যুগে আল্লাহ তার ভাল কাজের দিকে সম্বন্ধ করবেন। এ থেকে বাধাদানকারী কেউ নেই। যেমন সূচনালগ্নেই যদি কোন ‘আমল ছাড়াই তার ওপর অনুগ্রহ করতে পারেন যেমন অপরাগ ব্যক্তির ওপর ঐ সাওয়াবের মাধ্যমে যা সে সুস্থাবস্থায় করত। অতএব ব্যক্তি যা করেনি তার সাওয়াব তার জন্য লিপিবদ্ধ করা যদি সম্ভব হয় তাহলে সে শর্তপূরণ ছাড়াবস্থায় যা করেছে তার সাওয়াব তার জন্য লেখা সম্ভব হবে। আর ইবনু বাত্তাল আবূ সাঈ‘দ-এর (নিজ ইচ্ছানুযায়ী বান্দার ওপর অনুগ্রহ করা আল্লাহর ক্ষমতার অধীন এ ব্যাপারে কারো কোন আপত্তি নেই।) এ হাদীস উল্লেখের পর বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর (‘আয়িশাহ্ (রাঃ) যখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ইবনু জাদ্‘আন সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন সে যা কল্যাণকর কাজ করত তা কি তার উপকারে আসবে? এরপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে কোন দিন বলেনি হে আমার প্রভু! তুমি বিচারের দিন আমাকে ক্ষমা করে দিও) এ উক্তির দ্বারা অনেকে দলীল গ্রহণ করেছেন। অতএব এ উক্তিটি ঐ কথার উপর প্রমাণ বহন করছে যে, ইবনু জাদ্‘আন যদি ইসলাম গ্রহণের পর কোন দিন বলত, হে আমার প্রভূ! তুমি বিচারের দিন আমার পাপ ক্ষমা করে দিও তাহলে সে কুফরী অবস্থায় যা করেছিল তা তার উপকারে আসত। ‘উবায়দুল্লাহ মুবারকপূরী বলেন, আমি বলব, যারা এ ধরনের উক্তি করেনি তারা হাকীম বিন হিযাম-এর হাদীসের কয়েক দিক দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন।
১. (اسلمت على ما اسلفت من خير) এর অর্থ হল, নিশ্চয়ই তুমি তোমার ঐ কাজের মাধ্যমে সুন্দর স্বভাব অর্জন করেছ। ঐ স্বভাব কর্তৃক তুমি উপকৃত হবে। আনুগত্যের কাজে তোমার যে প্রশিক্ষণ লাভ হবে সে কারণে তুমি নতুন চেষ্টার মুখাপেক্ষী হবে না। অতএব তোমার ইসলাম গ্রহণের পর তার কারণে তোমার উপকৃত হওয়ার দ্বারা যে ‘আমলগত হয়েছে সে সম্পর্কে আল্লাহর কৃপা কর্তৃক তোমাকে সাওয়াব দেয়া হবে।
২. তার মাধ্যমে তুমি ইসলামে উত্তম প্রশংসা অর্জন করেছ, সুতরাং তা ইসলামে তোমার ওপর স্থায়ী থাকবে।
৩. নিশ্চয়ই সে ইসলামে যে পুণ্যকর্মগুলো করেছে তাতে সাওয়াব বেশি দেয়া এবং পূর্বে তার যে সমস্ত প্রশংসিত কাজ অতিবাহিত হয়েছে তার সাওয়াব বেশি করে দেয়া অসম্ভব নয়। এটাও এসেছে যে, কাফির ব্যক্তি যখন ভাল কাজ করে ঐ কাজের কারণে তার থেকে শাস্তি হালকা করা হয়। সুতরাং ঐ ভাল কাজের দরুন তার সাওয়াবে বৃদ্ধি করে দেয়া অসম্ভব নয়।
৪. তোমাকে তোমার বিগত হওয়া কল্যাণকর কাজের বারাকাতে ইসলামের দিকে পথপ্রদর্শন করা হয়েছে, কেননা সূচনা শেষের উদাহরণ।
৫. নিশ্চয়ই ঐ কর্মসমূহের কারণেই তোমাকে প্রশস্ত রিযক দান করা হয়েছে।
ইবনুল জাওযী বলেন, একমতে বলা হয়েছে, নিশ্চয়ই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তর থেকে গোপন করেছেন কেননা হাকীম বিন হিযাম তাকে প্রশ্ন করল তাতে কি আমার কোন সাওয়াব আছে? তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কল্যাণ থেকে যা অতিবাহিত হয়েছে তুমি তার উপর ইসলাম গ্রহণ করেছ; আর মুক্তি হল কল্যাণকর কাজ এতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেন উদ্দেশ্য করেছেন, নিশ্চয়ই তুমি ভাল কাজ করেছ আর ভাল কাজের কর্তার প্রশংসা করা হয় এবং দুনিয়াতে তার বদলা দেয়া হয় মুসলিম মারফূ' সূত্রে আনাস-এর হাদীস বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই কাফির ব্যক্তি যে সমস্ত ভাল কাজ করে তার উপর ভিত্তি করে তাকে রিযক্বের মাধ্যমে ইহজীবনে সাওয়াব দেয়া হয়। আর কারো কাছে গোপন না যে ব্যাখ্যাকারীগণ যে সকল উক্তির মাধ্যমে হাকীম বিন হিযাম-এর হাদীসের ব্যাখ্যা করেছে তাতে কৃত্রিমতা আছে, যা বাহ্যিকতার বিপরীত। সুতরাং প্রণিধানযোগ্য বিশ্বস্ত উক্তি হল, ওটা যে উক্তি ইমাম নাবাবীও তার অনুকূলকারীগণ করেছেন। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞাত।