হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২৩৬৭

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তা‘আলার রহমতের ব্যাপকতা

২৩৬৭-[৪] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর কাছে কি শাস্তি রয়েছে মু’মিন বান্দা যদি তা জানত, তাহলে কেউই তাঁর জান্নাতের আশা করত না। আর কাফির যদি জানত আল্লাহর কাছে কি দয়া রয়েছে, তাহলে কেউই তাঁর জান্নাত হতে নিরাশ হত না। (বুখারী, মুসলিম)[1]

بَابُ سَعْةِ رَحْمَةِ اللهِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ يَعْلَمُ الْمُؤْمِنُ مَا عِنْدَ اللَّهِ مِنَ الْعُقُوبَةِ مَا طَمِعَ بِجَنَّتِهِ أَحَدٌ وَلَوْ يُعْلَمُ الْكَافِرُ مَا عِنْدَ اللَّهِ مِنَ الرَّحْمَةِ مَا قَنَطَ من جنته أحد»

ব্যাখ্যা: (لَوْ يَعْلَمُ الْمُؤْمِنُ) এক মতে বলা হয়েছে, মাজীর সিগাহ্ ছাড়া মুজারের বিশ্লেষণ হিকমাত হল, ঐ দিকে ইঙ্গিত করা যে, এ বিষয়ের জ্ঞান তার অর্জন হয়নি এবং অর্জন হবেও না, আর এ থেকে ভবিষ্যতে যখন বাধাগ্রস্ত হবে যখন অতীতে আরো ভালভাবে বাধাগ্রস্ত হবে।

(مَا قَنَطَ مِنَ جَنَّتِه) অর্থাৎ- মু’মিনদের মধ্য থেকে কেউ জান্নাতের আশা করতো না। অর্থাৎ- কাফির দূরের কথা কোন মু’মিনই জান্নাতের আশা করত না। এ অংশে আল্লাহর শাস্তির আধিক্যতার বর্ণনা রয়েছে যাতে মু’মিন ব্যক্তি তাঁর আনুগত্যের কারণে বা তাঁর রহমাতের উপর নির্ভর করে ধোঁকায় না পড়ে ফলে নিজেকে নিরাপদ ভাববে অথচ আল্লাহর কৌশল থেকে একমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায় ছাড়া কেউ নিজেকে নিরাপদ ভাবতে পারে না।

(مَا قَنَطَ مِنَ جَنَّتِه أَحَدٌ) অর্থাৎ- কাফিরদের থেকে কেউ নিরাশ হত না, উপরন্তু মু’মিনদের থেকে কেউ। ত্বীবী বলেন, হাদীসটি আল্লাহ তা‘আলার দয়া এবং কঠোরতা দু’টি গুণের বর্ণনা সম্পর্কে। অতঃপর আল্লাহর গুণাবলীর যেমন সীমাবদ্ধতা নেই, তাঁর গোপন করা গুণাবলী কেউ জানতে পারে না। এমনিভাবে তাঁর শাস্তি এবং তাঁর রহমাত, যদি ধরে নেয়া হয় নিশ্চয়ই মু’মিন ব্যক্তি তার গোপন করা কঠোরতা সম্বন্ধীয় গুণের ব্যাপারে অবহিত হয়েছে অবশ্যই তখন ঐ গুণ থেকে এমন কিছু প্রকাশ পাবে যা ঐ সমস্ত ধারণা থেকে নিরাশ করবে ফলে তাঁর জান্নাত সম্পর্কে কেউ লালায়িত হবে না।

হাদীসটির সারাংশ হল, নিশ্চয়ই বান্দার উচিত হবে সৌন্দর্যমণ্ডিত গুণাবলী গবেষণার মাধ্যমে এবং কঠোরতা গুণাবলী পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে আশা এবং ভয়ের মাঝে থাকা। লামআত গ্রন্থকার বলেন, হাদীসটির বাচনভঙ্গি দয়া এবং ক্রোধ এ দু’টি গুণ বর্ণনার জন্য এবং এ দু’টির গোপনীয়তা পর্যন্ত কেউ পৌঁছতে না পারার বর্ণনা করা। ঐ সমস্ত মু’মিনগণ যারা আল্লাহর রহমাতের বাহ্যিক রূপ সম্পর্কে অবহিত তারা যদি জানত আল্লাহর কাছে কি পরিমাণ কঠোরতা আছে তাহলে তাদের কেউ জান্নাতের আশা করত না। এভাবে কাফিরদের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। অর্থাৎ- তারা আল্লাহর দয়ার কথা বলতে পারলে তাঁর জান্নাত পাওয়া থেকে নিরাশ হত না। এটা আল্লাহর রহমাত তাঁর ক্রোধের উপর অগ্রগামী হওয়ার পরিপন্থী নয়।