পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ক্ষমা ও তাওবাহ্
২৩৪০-[১৮] আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দিনে সত্তরবার করে একই গুনাহ করার পরও আল্লাহর কাছে গুনাহের জন্য ক্ষমা চাইবে, (ক্ষমা চাওয়ার কারণে) সে যেন প্রকৃতপক্ষে গুনাহ বার বার করেনি। (তিরমিযী ও আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا أَصَرَّ مَنِ اسْتَغْفَرَ وَإِنْ عَادَ فِي الْيَوْمِ سَبْعِينَ مَرَّةً» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ
ব্যাখ্যা: (مَا أَصَرَّ مَنِ اسْتَغْفَرَ) অর্থাৎ- যে ব্যক্তি অবাধ্যতার কাজ করবে, অতঃপর ঐ ব্যাপারে লজ্জিত হবে এবং তা থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করবে সে অবাধ্যতার উপর স্থায়ী হওয়ার হুকুম থেকে বেরিয়ে আসবে, কেননা অবাধ্যতার উপর স্থায়ী ঐ ব্যক্তি যে ক্ষমা প্রার্থনা করেনি এবং পাপের ব্যাপারে লজ্জিত হয়নি।
নিহায়াহ্ গ্রন্থকার বলেন, اصر على الشر অর্থাৎ- সে মন্দকে আঁকড়িয়ে ধরেছে এবং তার ওপর স্থায়ী হয়েছে বলে গণ্য হবে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে اصرار শব্দটি অকল্যাণ এবং পাপের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়, অর্থাৎ- যে ব্যক্তি তার গুনাহের পর ক্ষমা প্রার্থনা করে তার হুকুম হল, সে পাপের উপর স্থায়ী না যদিও সে পাপ তার থেকে বারংবার হয়ে থাকে।
(سَبْعِينَ مَرَّةً) নিশ্চয়ই এর মাধ্যমে আধিক্যতা, বারংবারতা এবং অতিরিক্ততা উদ্দেশ্য, সীমাবদ্ধতা তথ্য সংখ্যা উদ্দেশ্য নয়। استغفار দ্বারা استغفر الله উচ্চারণ করা উদ্দেশ্য নয়, বরং অবাধ্য কাজে লিপ্ত না হওয়া এবং পাপ কাজ না দোহরানোর ব্যাপারে দৃঢ়তা ব্যক্ত করা।
মানাবী এ হাদীসের ব্যাখ্যাতে বলেন, যে ব্যক্তি খাঁটি তাওবাহ্ করবে তার হুকুম গুনাহের উপর স্থায়ী না হওয়া যদিও সে দিনে সত্তরবার ঐ গুনাহের পুনরাবৃত্তি করে, কেননা আল্লাহর দয়ার শেষ নেই। সুতরাং আল্লাহর ক্ষমার কাছে সমস্ত বিশ্বের গুনাহসমূহ ধ্বংসশীল।