পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ), তাহমীদ (আল হাম্দুলিল্লা-হ), তাহলীল (লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ) ও তাকবীর (আল্ল-হু আকবার)- বলার সাওয়াব
২৩২০-[২৭] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’’লা- হাওলা ক্যুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হ’’ হলো নিরানব্বইটি রোগের ঔষধ, তন্মধ্যে সহজটা হলো চিন্তা।[1]
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ دَوَاءٌ مِنْ تِسْعَةٍ وَتِسْعِينَ دَاء أيسرها الْهم»
ব্যাখ্যা: (مِنْ تِسْعَةٍ وَتِسْعِينَ) অর্থাৎ- এ সংখ্যা নির্দিষ্ট করার কৌশল আল্লাহ ও তাঁর রসূল ছাড়া কেউ জানে না। ইমাম শাওকানী বলেন, এর বাহ্যিক দিক হল, নিশ্চয়ই এ জিকিরে উল্লেখিত সংখ্যার আরোগ্যদানকারী এ সংখ্যার প্রয়োগ আধিক্যতার উপরও হতে পারে। যেমন, আল্লাহ সূরা আল হা-ক্কাহ এর ৩২ নং আয়াতে বলেন, (ذرعها سبعون ذراعا)। সুতরাং তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী থেকে উদ্দেশ্য হবে নিশ্চয়ই ঐ বাণী পাঠ সকল রোগ ও ত্রুটি থেকে পরিত্রাণ লাভের উপায়। আর সে ত্রুটিগুলোর মাঝে একান্ত স্বাভাবিক চিন্তা দূর হওয়া।
(دَاءً) অর্থাৎ- গোপনীয় রোগের ঔষধ যেমন, দম্ভ, অহংকার, গোপনীয় শিরক, প্রবৃত্তির আনুগত্য অথবা বিষয়টি এর চাইতেও ব্যাপক এবং তা স্পষ্ট। কারী বলেন, অর্থাৎ- ইহকালীন ও পরকালীন রোগসমূহকে আরোগ্যদানকারী।
(الْهُمُّ) দীন ও দুনিয়ার সাথে সর্ম্পক রাখে এমন চিন্তা বা যা দুনিয়ার জীবন-যাপন ও পরকালের দিকে প্রত্যাবর্তনের সাথে সম্পর্ক রাখে এমন। মানাবী বলেন, এটা এ কারণে যে, বান্দা যখন কোন কিছুর উপকরণসমূহ থেকে মুক্ত থাকবে তখন তার বক্ষ প্রশস্ত হবে এবং ঐ ব্যাপারে তার চিন্তা দূর হবে তার মাঝে শক্তি সাহায্য আসবে এবং গোপনীয় রোগ-ব্যাধির ব্যাপারে তার মন হালকা হবে।