পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২১৯৯-[১৩] বারা ইবনু ’আযিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’তোমাদের মিষ্টি স্বর দিয়ে কুরআনকে সুন্দর করো।’ (আহমদ, আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ ও দারিমী)[1]
وَعَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «زَيِّنُوا الْقُرْآنَ بِأَصْوَاتِكُمْ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ وَالدَّارِمِيُّ
ব্যাখ্যা: কুরআন মাজীদকে সুন্দর কণ্ঠে তিলাওয়াত করা শারী‘আতের নির্দেশ। কুরআনকে সুর দিয়ে পড়লে আরো সুন্দর হয়। এ ব্যাপারে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (فإن الصوت الحسن يزيدالقرآن حسناً) অর্থাৎ- সুমধুর কণ্ঠ কুরআনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। আর তা নিষিদ্ধ নয়, কেননা সৌন্দর্য বর্ধক জিনিস সেই বস্ত্তরই অন্তর্ভুক্ত। আল মানাবী (রহঃ) বলেন, আসলে উপরোক্ত হাদীস দ্বারা তারতীল সহ কুরআন তিলাওয়াতের উপর উদ্ধুদ্ধ করা হয়েছে। যেমন আল্লাহ বলেন, وَرَتِّلِ الْقُرْاٰنَ تَرْتِيلًا ‘‘আর ধীরে ধীরে সুস্পষ্টভাবে কুরআন পাঠ কর’’- (সূরা আল মুযযাম্মিল ৭৩ : ৪)। অর্থাৎ- কুরআন তাজবীদসহ চিন্তা বিমুগ্ধ করুন স্বরে পাঠ কর। সুন্দর কালামুল্লাহকে সুর করে পড়লে মানুষ বিমোহিত হয়ে পড়ে। একদা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ মূসা -এর তিলাওয়াত শুনে বললেন, (لقد أوتيت مزماراً من مزامير آل داود) তোমাকে দাঊদ (আঃ)-এর কণ্ঠস্বর দেয়া হয়েছে।