পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
২১১৫-[৭] ’উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা এ কিতাব কুরআনের মাধ্যমে কোন কোন জাতিকে উন্নতি দান করেন। আবার অন্যদেরকে করেন অবনত। (মুসলিম)[1]
اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «إِن الله يَرْفَعُ بِهَذَا الْكِتَابِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ بِهِ آخَرِينَ» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী, ‘‘আল্লাহ তা‘আলা এ কিতাবের দ্বারা কোন জাতিকে উন্নত করেন’’। এই কিতাবের অর্থ হলো কুরআনুল কারীম। এটা মহান এবং শাশ্বত মর্যাদাসম্পন্ন পরিপূর্ণ কিতাব। পূর্ববর্তী আসমানী কোন গ্রন্থই এ মর্যাদায় পৌঁছতে পারেনি। এ জাতির উন্নতির কারণ হলো আল কুরআনের প্রতি তাদের বিশ্বাস, আল কুরআনের যথাযথ মর্যাদা দান এবং তার উপর ‘আমল করা। এদের মর্যাদা এভাবে বাড়িয়ে দেয়া হবে যে, ইহকালে পাবে তারা এক সম্মানজনক জীবন এবং পরকালে আল্লাহর নৈকট্যশীল পুরস্কারপ্রাপ্ত বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। পক্ষান্তরে যারা তার প্রতি পূর্ণরূপে ঈমান আনয়ন করবে না, তার ‘আমল ছেড়ে দিবে এবং তার যথাযোগ্য মর্যাদা দানে ব্যর্থ হবে আল্লাহ তা‘আলা তাদের লাঞ্ছিত করবেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, ‘‘এ কুরআন দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা অনেক মানুষকে পথপ্রদর্শন করেন আবার অনেককে করেন পথভ্রষ্ট।’’ (সূরা আল বাকারাহ্ ২ :২৬)