পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - লায়লাতুল কদর
২০৮৭-[৫] যে রিওয়ায়াতটি ’আবদুল্লাহ ইবনু উনায়স (রাঃ) হতে বর্ণিত, সে বর্ণনা ’২১তম রাতের সকালের’ স্থলে ’২৩তম রাতের সকালে’ শব্দটি আছে। (মুসলিম)[1]
بَابُ لَيْلَةِ الْقَدْرِ
وَفِي رِوَايَةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ قَالَ: «لَيْلَة ثَلَاث وَعشْرين» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: ‘আবদুল্লাহ বিন উনায়স হতে আবূ সা‘ঈদ-এর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত রয়েছে, সেখানে ২১শে রাতের পরিবর্তে ২৩ রাতের কথা উল্লেখ রয়েছে। তার শব্দে মুসলিমে রয়েছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, লায়লাতুল কদর আমাকে দেখানো হয়েছিল, অতঃপর তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে এবং ঐ দিনে সকালে দেখানো হয়েছে যে, আমি পানি ও কাদা মাটিতে সিজদা্ দিয়েছি। তিনি বলেন, অতঃপর ২৩ রাতে আমাদের ওপর বৃষ্টি হয়েছিল। অতঃপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাথে সালাত আদায় করলেন এবং ফিরে গেলেন। আর পানি ও কাদা মাটির চিহ্ন কপালে ও নাকে লেগে ছিল। ‘আবদুল্লাহ বিন উনায়স বলেন, এ দিনটি ছিল ২৩শে রাত, এখানে স্পষ্টই বুঝা যায় যে, ‘আবদুল্লাহ বিন উনায়স ও আবূ সা‘ঈদ (রাঃ)-এর হাদীসের মাঝে রাত নির্ধারণে বৈপরীত্য রয়েছে। কারো মতে আবূ সা‘ঈদ-এর হাদীসে মুত্তাফাকুন ‘আলাইহি হওয়ায় তা প্রাধান্যযোগ্য। এ হাদীস থেকে যারা দলীল গ্রহণ করেছেন তারা বলেন, লায়লাতুল কদর রাতটা ২৩তম রাতে হবে। তবে সর্বোপরি কথা হল, নিশ্চয়ই তা ঐ বছরের জন্য খাস ছিল। কিন্তু ‘আবদুল্লাহ বিন উনায়স এবং তার মতের অনুসারী ও তাবি‘ঈনগণ এটা ‘আমভাবে প্রতি বছরের উপর ধরে নিয়েছেন।