পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - লায়লাতুল কদর
২০৮৫-[৩] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা লায়লাতুল কদরকে রমাযান (রমজান) মাসের শেষ দশকে সন্ধান করো। লায়লাতুল কদর হলো নবম রাতে (অর্থাৎ- একুশতম রাতে), বাকী দিন হলো সপ্তম রাতে (সেটা হলো তেইশতম রাত), আর অবশিষ্ট থাকল পঞ্চম রাত (আর তা হলো পঁচিশতম) রাত। (বুখারী)[1]
بَابُ لَيْلَةِ الْقَدْرِ
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: الْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ: فِي تَاسِعَةٍ تَبْقَى فِي سَابِعَةٍ تَبْقَى فِي خَامِسَةٍ تَبْقَى. رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যা: ‘আল্লামা আল কারী (রহঃ) বলেন যে, তার কথা (تَبْقٰى) অবশিষ্ট থাকবে, অর্থাৎ- ২০ এর পর তা অবশিষ্ট থাকবে। আর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম تَاسِعَةٍ বা ৯ম দ্বারা ২৯ তারিখ, ৭ম দ্বারা ২৭ ও পঞ্চম দ্বারা ২৫ তারিখ উদ্দেশ্য নিয়েছেন। এর সমর্থনে সহীহ মুসলিম ও আবূ দাঊদ-এর বর্ণনায় আবী আন্ নাযরাহ্ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি আবূ সা‘ঈদ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, তোমরা তা (লায়লাতুল কদর) অনুসন্ধান কর ৯ম, ৭ম, ৫ম রাতে।
আমি (আবূ আন্ নাযরাহ্) বললাম, নিশ্চয়ই আপনারা সংখ্যার ব্যাপারটি আমাদের চেয়ে বেশি জানেন। তিনি (আবূ সা‘ঈদ) বললেন, হ্যাঁ, আমরা তা জানার বেশি হকদার। আমি বললাম ৯ম, ৭ম, ৫ম কি? জবাবে তিনি বললেন, যখন ২১ তারিখ অতিবাহিত হবে, অতঃপর যে রাতটি ২২ তারিখের সাথে সাথে মিলিত, তা হলো ৯ম। আর যখন ২৩ তারিখ অতিবাহিত হবে, অতঃপর দিবাগত রাত হলো ৭ম, অতঃপর যখন ২৫ তারিখ অতিবাহিত হবে, অতঃপর তার সাথে সংশিস্নষ্ট রাত হলো ৫ম। এই বিশুদ্ধ হাদীসগুলোর ভিন্নতাই প্রমাণ করে যে, লায়লাতুল কদর রাতটা (শেষের দশকের) বেজোড় রাতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।