হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
২০৫২

পরিচ্ছেদঃ ৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - নফল সিয়াম প্রসঙ্গে

২০৫২-[১৭] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অন্যান্য রাতগুলোর মধ্যে লায়লাতুল জুমাকে ’ইবাদাত বন্দেগীর জন্য খাস করো না। আর ইয়াওমুল জুমাকেও (জুমার দিন) অন্যান্য দিনের মধ্যে সওমের জন্য নির্দিষ্ট করে নিও না। তবে তোমাদের কেউ যদি আগে থেকেই অভ্যস্ত থাকে, জুমাহ্ ওর মধ্যে পড়ে যায়, তাহলে জুমার দিন সওমে অসুবিধা নেই। (মুসলিম)[1]

بَابُ صِيَامِ التَّطَوُّعِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَخْتَصُّوا لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ بِقِيَامٍ مِنْ بَيْنِ اللَّيَالِي وَلَا تَخْتَصُّوا يَوْمَ الْجُمُعَةِ بِصِيَامٍ مِنْ بَيْنِ الْأَيَّامِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ فِي صَوْمٍ يَصُومهُ أحدكُم» . رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসে জুমার দিনের রাতে নফল ‘ইবাদাত এবং কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে উক্ত রাতকে নির্দিষ্ট করা হারাম হওয়ার উপর দলীল রয়েছে। তবে সহীহ হাদীস দ্বারা যা প্রমাণিত রয়েছে তা ব্যতীত, যেমন এই রাতে সূরা আল কাহাফ তিলাওয়াত করা। কেননা জুমার রাতে তা তিলাওয়াত করার বিশুদ্ধ বর্ণনা রয়েছে। আর এটাও প্রমাণিত হয় যে, সালাতুর্ রগায়িব (যা রজব মাসের প্রথম জুমার রাতে আদায় করা হয়) শারী‘আতসম্মত নয়। ‘আল্লামা নাবাবী (রহঃ) বলেন, এ হাদীসে অন্যান্য রাতগুলোর মধ্য হতে জুমার রাতকে বিশেষ সালাতের মাধ্যমে নির্দিষ্ট করার নিষেধাজ্ঞাটা সুস্পষ্ট। আর এ মর্মে প্রমাণও রয়েছে, এবং এটার কারাহিয়্যাতের ব্যাপারে সকলেই একমত। আর ‘উলামাগণ সালাতুর্ রগায়িব নামক বিদআত (বিদাত), ঘৃণিত হওয়ার উপর দলীল গ্রহণ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা তার আবিষ্কারকের উপর লা‘নাত করুন, কেননা তা ঘৃণিত বিদআত (বিদাত)।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ