পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সওম পবিত্র করা
২০১০-[১২] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললেন, আমার চোখে অসুখ। এ কারণে আমি কি সায়িম অবস্থায় চোখে সুরমা লাগাতে পারি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, হ্যাঁ। (তিরমিযী; তিনি বলেন, এ হাদীসের সানাদ মজবুত নয়। আর এক বর্ণনাকারী আবূ ’আতিকাহ্-কে দুর্বল মনে করা হয়।)[1]
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: اشتكيت عَيْني أَفَأَكْتَحِلُ وَأَنَا صَائِمٌ؟ قَالَ: «نَعَمْ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ وَأَبُو عَاتِكَةَ الرَّاوِي يضعف
ব্যাখ্যা: أَفَأَكْتَحِلُ وَأَنَا صَائِمٌ؟ قَالَ: نَعَمْ ‘‘আমি কি সায়িমরত অবস্থায় (চোখে) সুরমা লাগাবো? নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁ।’’ এতে প্রমাণিত হয় যে, সায়িমরত অবস্থায় চোখে সুরমা লাগানো বৈধ।
অধিকাংশ ‘আলিমদের অভিমতও তাই। ইমাম মালিক মনে করেন চোখে সুরমা লাগালে তা যদি কণ্ঠনালী পোঁছে যায় তবে সায়িম ভঙ্গ হয়ে যাবে। আবূ মুস্‘আব মনে করেন, সিয়াম ভঙ্গ হবে না। ইমাম সাওরী, ‘আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক, আহমাদ এবং ইসহাক মনে করেন, সিয়ামরত অবস্থায় সুরমা লাগানো মাকরূহ। ইমাম আহমাদ থেকে এক বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, সুরমার স্বাদ কণ্ঠনালী পৌঁছে গেলে সিয়াম ভঙ্গ হয়ে যাবে।
‘আত্বা, হাসান বাসরী, ইব্রাহীম নাখ্‘ঈ, আওযা‘ঈ, আবূ হানীফাহ্, আবূ সাওর এবং শাফি‘ঈর মতে সিয়ামরত অবস্থায় সুরমা লাগাতে কোন ক্ষতি নেই। অতএব তা বৈধ এবং তা সিয়াম ভঙ্গের কোন কারণ নয় চাই হলকুমে তার স্বাদ অনুভব করুক বা না করুক। অত্র হাদীস তাদের স্বপক্ষে দলীল। যদিও হাদীসটি দুর্বল কিন্তু তার শাহিদ রয়েছে যা সমষ্টিগতভাবে দলীল গ্রহণযোগ্য। পক্ষান্তরে সিয়ামরত অবস্থায় সুরমা লাগানো মাকরূহ হওয়ার বিষয়ে কোন সহীহ অথবা হাসান হাদীস নেই। তাই সঠিক কথা এই যে, সিয়ামরত অবস্থায় সুরমা লাগানো বৈধ তা মাকরূহ নয়।