পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সওম পর্বের বিক্ষিপ্ত মাস্আলাহ্
১৯৯৪-[১৩] মু’আয ইবনু যুহরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইফতার করার সময় (এ দু’আ) বলতেনঃ ’’আল্ল-হুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া ’আলা- রিযকবিকা আফত্বরতু’’ (অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তোমার জন্য সওম রেখে, তোমার [দান] রিযক দিয়ে ইফতবার করছি)। (আবূ দাঊদ, হাদীসটি মুরসাল)[1]
وَعَنْ مُعَاذٍ بْنِ زُهْرَةَ قَالَ: إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا أَفْطَرَ قَالَ: «اللَّهُمَّ لَكَ صَمْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد مُرْسلا
ব্যাখ্যা: (اَللّٰهُمَّ لَكَ صَمْتُ وَعَلٰى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ) ‘‘হে আল্লাহ! তোমার জন্যেই আমি সিয়াম পালন করেছি এবং তোমার রিযক দিয়েই ইফতার করেছি।’’ অর্থাৎ- আমার এ সিয়াম লোক দেখানো নয় বরং তা একনিষ্ঠভাবে শুধু তোমারই সন্তুষ্টির জন্য। কেননা একমাত্র তুমিই রিযকদাতা। যেহেতু তোমার দেয়া রিযক ভক্ষণ করি, কাজেই তুমি ব্যতীত অন্য কারো ‘ইবাদাত করা সমিচীন নয়।
‘আল্লামা কারী বলেনঃ লোকজনের মাঝে এ দু‘আর শেষে বাড়তি শব্দ (وبك آمنت وعليك توكلت لصوم غد نويت) এর কোন ভিত্তি নেই। বরং মুখে উচ্চারণের মাধ্যমে নিয়্যাত করা বিদ্‘আতে হাসানাহ্। আমি (মুবারকপূরী) বলছি, সালাত ও সওমের জন্যে মুখে নিয়্যাত উচ্চারণ করার কোন ভিত্তি কুরআন ও হাদীসে নেই। অতএব তা ইসলামী শারী‘আতের মধ্যে একটি বিদআত (বিদাত)। আর শারী‘আতের মধ্যে সকল প্রকার বিদআতই দূষণীয়, তাই পরিত্যাজ্য।