হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৯২৫

পরিচ্ছেদঃ ৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা

১৯২৫-[৩৮] মারসাদ ইবনু ’আবদুল্লাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কিছু সাহাবী আমাকে এ হাদীসটি শুনিয়েছেন যে, তাঁরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে শুনেছেন, ’’কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন মু’মিনের ছায়া হবে তার দান সদাক্বাহ্ (সাদাকা)।’’ (আহমাদ)[1]

وَعَنْ مَرْثَدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: حَدَّثَنِي بَعْضِ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ ظِلَّ الْمُؤْمِنِ يَوْمَ الْقِيَامَة صدقته» . رَوَاهُ أَحْمد

ব্যাখ্যা: মূলত দান ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) দিন দানকারীকে গরমের কষ্ট থেকে ছায়া দিয়ে রক্ষা করবে। ক্বারী বলেন, হাদীসের প্রকাশ্য অর্থ হলো, ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) দিন মু’মিন দানকারীর দান তার জন্য ছায়া হবে। যেভাবে সে পৃথিবীতে মানুষকে দান করে ছায়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। তার দান শারীরিক আকৃতি ধারণ করেও দানকারীকে ছায়াও দিতে পারে কিংবা দানের সাওয়াবও শারীরিক আকৃতি লাভ করে দানকারীকে ছায়া দিতে পারে। তবে কেউ যদি তার সম্পদ যেমন কাপড়, চাদর/শামিয়ানা ইত্যাদি দান করে তাহলে বাস্তবেই তা ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) দিন দানকারীকে ছায়া দিবে, যেমন বর্ণনা বিভিন্ন হাদীসে এসেছে। এ ব্যাখ্যার স্বপক্ষে যেসব হাদীস বর্ণিত হয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, ‘উক্ববাহ্ ইবনু ‘আমির (রাঃ) থেকে মুসনাদে আহমাদে (খ. ৪, পৃ. ১৪৭) এবং ইবনু খুযায়মাহ্, ইবনু হিব্বান এবং হাকিম (খ. ১, পৃ. ৪২৬) স্ব-স্ব গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন, ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) যখন মানুষের মাঝে বিচার চলবে তখন দানকারী ব্যক্তি তার দানকৃত বস্ত্তর ছায়ার নিচে অবস্থান করবে।

‘আমীর আল্ ইয়ামানী বলেনঃ বাস্তবিক অর্থেই দানকারী দানকৃত বস্ত্তর ছায়ায় অবস্থান করবে। সেদিন দানকৃত বস্ত্তগুলো একত্রিত করা হবে এবং সেগুলো দানকারী থেকে সূর্যের খড়তাপকে প্রতিহত করবে (অর্থাৎ সূর্যের সেদিনের প্রচন্ড তাপ দানকারীর শরীরে লাগবে না)। লেখক বলেন, হাদীসে বর্ণিত ছায়া বাস্তবিকই হবে, প্রতীকী নয়। এটাই নির্ভরযোগ্য মত।


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ