পরিচ্ছেদঃ ৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সদাক্বার মর্যাদা
১৯১৫-[২৮] মহিলা সাহাবী বুহায়সাহ্ (রাঃ)তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন যে, তাঁর পিতা আরয করলেন, হে আল্লাহর রসূল! এটা কোন্ জিনিস যা দিতে অস্বীকার করা হালাল নয়? তিনি বললেন, ’পানি’। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর নবী! কোন্ জিনিস দিতে নিষেধ করা হালাল নয়? তিনি বললেন, ’লবণ’। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর নবী! আর কোন্ জিনিস নিষেধ করা হালাল নয়? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সর্বপ্রকার কল্যাণের কাজই তোমার জন্য কল্যাণকর। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ بُهَيْسَةَ عَنْ أَبِيهَا قَالَتْ: قَالَ: يَا رَسُول الله مَا لشَيْء الَّذِي لَا يَحِلُّ مَنْعُهُ؟ قَالَ: «الْمَاءُ» . قَالَ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ مَا الشَّيْءُ الَّذِي لَا يَحِلُّ مَنْعُهُ؟ قَالَ: «الْمِلْحُ» . قَالَ: يَا نَبِيَّ الله مَا لاشيء الَّذِي لَا يَحِلُّ مَنْعُهُ؟ قَالَ: «أَنْ تَفْعَلَ الْخَيْر خير لَك» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: পানি প্রার্থনাকারীকে তা দিতে তখনই নিষেধ করা যাবে না যখন পানির মালিকের পানির প্রয়োজন থাকবে না। কারো মতে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, পানি হলো এমন নগণ্য জিনিস যা প্রার্থনাকারীকে ও প্রতিবেশীকে দেয়া থেকে বিরত থাকা উচিত নয়। লবণ প্রার্থনাকারীকে তা দিতে বিরত থাকা যাবে না এজন্য যে, এ জিনিসটি মানুষের খুবই প্রয়োজন এবং প্রথাগতভাবেই মানুষ এটা আদান-প্রদান করে। ইমাম আশ্ শাওকানী বলেন, মূলত যেসব জিনিস দ্বারা মানুষ উপকৃত হয় সেসব জিনিস এই একই হুকুমের অন্তর্ভুক্ত।
সর্বশেষে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী, ‘‘যে কোন ভাল কাজ করাই তোমার পক্ষে ভাল’’। এর অর্থ হলোঃ তোমার সুরভিত আত্মা যে কল্যাণকর কাজ করতে চায় তা করা উচিত এবং তা করা থেকে বিরত থাকা বৈধ নয়। আল্লামা আলী ক্বারী (রহঃ) বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীর পক্ষে কুরআনী দলীল হচ্ছে- আল্লাহ বলেন, ‘‘কেউ অণু পরিমাণ কাজ করলে সে তা (ক্বিয়ামাতের (কিয়ামতের) দিন) দেখবে’’- (সূরাহ্ আয্ যিলযা-ল ৯৯ : ০৭)। অত্র হাদীসে যে ‘‘বৈধ নয়’’ বলা হয়েছে এর দ্বারা মূলত বুঝাচ্ছে ‘‘উচিত নয়’’।