পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
১৭৮৫-[১৪] রাফি’ ইবনু খাদীজ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে প্রশাসক যথাযথভাবে যাকাত উসূল করে সে গাযীর মতো যতক্ষণ না সে গৃহে প্রত্যাবর্তন করে। (আবূ দাঊদ ও (তিরমিযী)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّانِى
وَعَن رَافع بن خديح قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْعَامِلُ عَلَى الصَّدَقَةِ بِالْحَقِّ كَالْغَازِي فِي سَبِيلِ اللَّهِ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى بَيْتِهِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীস থেকে প্রমাণ হয় যে, হকভাবে যাকাত আদায় করা জিহাদে শরীক হওয়ার ন্যায় নেকীর কাজ। যতক্ষণ না ঐ যাকাত আদায়কারী স্বীয় বাড়ীতে ফিরে আসে ততক্ষণ সে নেকী পেতেই থাকে। যেমনিভাবে জিহাদকারীর ব্যাপারে প্রমাণ আছে।
হকভাবে যাকাত আদায় করার অর্থ হলো, নিষ্ঠা এবং সাওয়াবের আশায় সে কর্ম করা অথবা আদায়কৃত যাকাতের মালের মধ্যে খিয়ানাত না করা, সম্পদের মালিকদের উপর অত্যাচার না করা কম বেশি সম্পদ গ্রহণের মাধ্যমে।
এ হাদীসের ব্যাখ্যায় তিরমিযীর ভাষ্যকার ইবনুল আরাবী (রহঃ) বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা মহান দাতা। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন মুজাহিদের বাহন প্রস্ত্তত করে দিল সে জিহাদে অংশগ্রহণকারীর সমান নেকীর অধিকারী হল, আর যে উত্তম ভাবে মুজাহিদের পরিবারের রক্ষণাবেক্ষণ করল সেও মুজাহিদের সমপরিমাণ নেকী পেল। আর সদাক্বাহ্/যাকাত সংগ্রাহক মুজাহিদের প্রতিনিধি। কেননা সে আল্লাহর রাস্তায় মাল একত্রিত করে। অতএব সে তার কর্মে ও নিয়্যাতে গাজী।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয়ই মাদানীয় কিছু লোক রয়েছে যারা (মদীনায় অবস্থান করেও) জিহাদের উদ্দেশে তোমরা সেখানেই গিয়েছে তোমাদের সাথে থেকেছে। কারণ ওযর তাদেরকে বন্দী করে রেখেছে। এটি যদি এদের অবস্থা হয় তাহলে যে ব্যক্তিকে গাজীর কাজ, তার প্রতিনিধিত্ব এবং সে আল্লাহর পথে যে মাল খরচ করে তার একত্রিতকরণ জিহাদের যাওয়া থেকে বিরত রাখে তার বিষয়টি কেমন হতে পারে। জিহাদ করা যেমন আবশ্যক তেমনি যাকাতের সম্পদ সংগ্রহ করাও আবশ্যক। এক্ষেত্রে তারা দু’জন নিয়্যাত এবং কর্মে পরস্পরের অংশীদার। তাই নেকীর ক্ষেত্রেও উভয়ে সমান হবে।