পরিচ্ছেদঃ ৮. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কবর যিয়ারত
১৭৬৮-[৭] মুহাম্মাদ ইবনু নু’মান (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি এ হাদীসের সানাদ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত পৌঁছিয়েছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেক জুমু’আতে নিজ মাতা-পিতা অথবা তাদের দু’জনের বা একজনের কবর যিয়ারত করবে (সেখানে দু’আয়ে মাগফিরাত করবে) তাদের মাফ করে দেয়া হবে। (যিয়ারতকারী মাতা-পিতার সাথে) সদাচরণকারী হিসেবে গণ্য করা হবে। (বায়হাক্বী মুরসাল হাদীস হিসেবে শু’আবুল ঈমানে বর্ণনা করেন।)[1]
وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ النُّعْمَانِ يُرْفَعُ الْحَدِيثَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ زَارَ قَبْرَ أَبَوَيْهِ أَوْ أَحَدِهِمَا فِي كُلِّ جُمُعَةٍ غُفِرَ لَهُ وَكُتِبَ بَرًّا» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شعب الْإِيمَان مُرْسلا
ব্যাখ্যা: এ হাদীসে মা-বাবার কবর যিয়ারতের ফাযীলাতের কথা তুলে ধরা হয়েছে।
মুহাম্মাদ ইবনু নু‘মান ইবনু বাশীর ছিলেন একজন বিশ্বস্ত তাবি‘ঈ। তিনি সাহাবী রাবীকে মাঝখান থেকে বাদ দিয়ে অথবা অন্য কাউকে বাদ দিয়ে তিনি সরাসরি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছ থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। এ জাতীয় হাদীসকে হাদীসে মুরসাল বলা হয়।
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি প্রতি জুমু‘আর দিন বা প্রতি সপ্তাহে পিতা-মাতা দু’জনের অথবা এক জনের কবর যিয়ারত করে, তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। অর্থাৎ তার সাগীরা গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। জুমু‘আর দিনের হাদীসকে আবূ বাকর (রাঃ) হতে ইবনু ‘আদী কর্তৃক বর্ণিত হাদীস শক্তিশালী করেছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, من زار قبر والديه او احدهما يوم الجمعة অর্থাৎ যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিন মা-বাবা দু’জনের অথবা একজনের কবর যিয়ারত করে।
হাদীসে বলা হয়েছে كتب برا অর্থাৎ নেককার হিসেবে লেখা হয়। অর্থাৎ যে প্রতি জুমু‘আর দিনে মা-বাবার কবর যিয়ারত করে তার নাম নেককারদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ হাদীসের মাধ্যমে জানা যায় যে, প্রত্যেক জুমু‘আর দিন মা-বাবার কবর যিয়ারত করা মুস্তাহাব তথা উত্তম সাওয়াবের কাজ। যদিও হাদীসটি মুরসাল। আর এ ব্যাপারে যা কিছু বর্ণিত আছে, তার সবই দুর্বল।