হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৭৪৯

পরিচ্ছেদঃ ৭. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - মৃত ব্যক্তির জন্য কাঁদা

১৭৪৯-[২৮] ইমাম বুখারী সানাদবিহীন তা’লীক্ব পদ্ধতিতে উল্লেখ করেন যে, যখন হাসান ইবনু ’আলী (রাঃ) এর ছেলে (ইমাম) হাসান মারা যান, তখন তাঁর স্ত্রী তাঁর কবরের উপর এক বছর পর্যন্ত তাঁবু খাটিয়ে রেখেছিলেন। তাঁবু ভাঙার পর অদৃশ্য হতে শুনতে পেলেন, ’’এ তাঁবু খাটিয়ে কি তারা হারানো ধন ফিরে পেলো?’’ এ কথার জবাবে আবার (অদৃশ্য হতেই) অন্য একজন বলল, না! বরং নিরাশ হয়ে ফিরে গিয়েছে।[1]

وَعَنِ الْبُخَارِيِّ تَعْلِيقًا قَالَ: لَمَّا مَاتَ الْحَسَنُ بن الْحسن بن عَليّ ضَرَبَتِ امْرَأَتُهُ الْقُبَّةَ عَلَى قَبْرِهِ سَنَةً ثُمَّ رَفَعَتْ فَسَمِعَتْ صَائِحًا يَقُولُ: أَلَا هَلْ وَجَدُوا مَا فَقَدُوا؟ فَأَجَابَهُ آخَرُ: بَلْ يَئِسُوا فَانْقَلَبُوا

ব্যাখ্যা: তা‘লীক্ব বলা হয় সানাদবিহীন হাদীসকে। এ হাদীসে ক্ববরের উপর তাঁবু বা সামিয়ানা তৈরি করে রাখাকে তিরস্কার করা হয়েছে। এখানে হাসান ইবনু হাসান অর্থাৎ হাসানের ছেলে হাসান আর তার স্ত্রী ফাত্বিমাহ্ বিনতে হুসায়ন। তারা একদিকে যেমন স্বামী-স্ত্রী, অপরদিকে চাচাত ভাই-বোন। যখন হাসান ইবনু হাসান মারা যায় তখন তার স্ত্রী ফাত্বিমাহ্ বিনতু হুসায়ন তার ক্ববরের উপর এক বছর তাঁবু তৈরি করে রাখেন। অতঃপর তিনি তা উঠিয়ে নেন। উঠিয়ে নেয়ার পর তিনি শুনতে পান দু’জন লোক একজন আরেক জনকে বলছে যে, সে যা হারিয়েছে তা কি ফিরে পেয়েছে? তখন অপরজন বলল, না বরং নিরাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে। এখানে দু’জন চিৎকারকারী হলেন, কোন মু’মিন জিন্ অথবা মালাক (ফেরেশতা)।

এ হাদীসের আলোকে প্রতীয়মান হয়েছে যে, ক্ববরের উপর তাঁবু তৈরি করা মাকরূহ। আর ইমাম আহমাদ (রহঃ) এ কথার উপরই রায় দিয়েছেন। আর এটাই সত্য।

ইবনু কুদামাহ্ (রহঃ) বলেন, ইমাম আহমাদ (রহঃ) ক্ববরের উপর তাঁবু বা সামিয়ানা তৈরি করাকে মাকরূহ বলেছেন। সাহাবী আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)-এর মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলে তিনি ওয়াসিয়াত করে যান যে, তার ক্ববরে যেন কোন তাঁবু টানানো না হয়।

ইমাম বুখারী (রহঃ) স্বীয় কিতাব বুখারীতে এ হাদীসটিকে ‘‘ক্ববরের উপর মাসজিদ বানানো ঘৃণিত কাজ’’ নামক অধ্যায়ে বর্ণনা করে প্রমাণ করেছেন যে, তার কাছেও ক্ববরে তাঁবু টানানো মাকরূহ। সুতরাং কোন ভাবেই ক্ববরের উপর তাঁবু টানানো যাবে না।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ