হাদিসটি ইমেইলে পাঠাতে অনুগ্রহ করে নিচের ফর্মটি পুরন করুন
security code
১৬৫৫

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা

১৬৫৫-[১০] ’আওফ ইবনু মালিক (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক জানাযার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করলেন। জানাযায় যেসব দু’আ তিনি পড়েছেন তা আমি মুখস্থ করে রেখেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতেন,

’’আল্ল-হুম্মাগফির লাহূ ওয়ারহামহু ওয়া ’আ-ফিহী ওয়া’ফু ’আনহু ওয়া আকরিম নুযুলাহূ ওয়া ওয়াসসি’ মুদখলাহূ ওয়াগসিলহু বিলমা-য়ি ওয়াসসালজি ওয়াল বারাদি ওয়ানাক্কিহী মিনাল খত্বা-ইয়া- কামা- নাক্কায়সাস্ সাওবাল আব্ইয়াযা মিনাদ্ দানাসি ওয়া আবদিলহু দা-রান খয়রাম্ মিন দা-রিহী ওয়া আহলান খয়রাম্ মিন আহলিহী ওয়া যাওজান খয়রাম্ মিন যাওজিহী ওয়া আদখিলহুল ওয়াআ ’ইযহু মিন ’আযা-বিল কবরি ওয়ামিন ’আযা-বান্ না-র’’

(অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি তাকে মাফ করে দাও, তার উপর রহম করো, তাকে নিরাপদে রাখো। তার ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করো, তাকে উত্তম মেহমানদারী করো (জান্নাতে), তার কবরকে প্রশস্ত করে দাও। তাকে পানি, বরফ ও ঠান্ডা (পানি) দিয়ে গোসল করাও। গুনাহখাতা হতে তাকে পবিত্র করো, যেমন তুমি সাদা কাপড়কে ময়লা হতে পরিষ্কার করো। তাকে (দুনিয়ার) তার ঘরের চেয়ে উত্তম ঘর (জান্নাতে) দান করো, তার পরিবার অপেক্ষা উত্তম পরিবারও দান করো। (দুনিয়ার) স্ত্রীর চেয়ে উত্তম স্ত্রী (আখিরাতে) তাকে দিও। তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও, তাকে কবরের ’আযাব এবং জাহান্নামের ’আযাব থেকে রক্ষা করো।’’)।

অপর এক বর্ণনার ভাষায়- ’’ওয়াক্বিহী ফিতনাতাল কবরি ওয়া ’আযা-বান্ না-র’’ (অর্থাৎ কবরের ফিতনাহ্ এবং জাহান্নামের আগুন থেকে তাকে বাঁচাও)। এ দু’আ শুনার পর আমার বাসনা জাগলো, এ মৃত ব্যক্তি যদি আমি হতাম। (মুসলিম)[1]

الْمَشْيُ بِالْجَنَازَةِ وَالصَّلَاةُ عَلَيْهَا

وَعَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: صَلَّى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى جَنَازَةٍ فَحَفِظْتُ مِنْ دُعَائِهِ وَهُوَ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لَهُ وَارْحَمْهُ وَعَافِهِ وَاعْفُ عَنْهُ وَأَكْرِمْ نُزُلَهُ وَوَسِّعْ مُدْخَلَهُ وَاغْسِلْهُ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ وَنَقِّهِ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الْأَبْيَضَ مِنَ الدنس وأبدله دَارا خيرا من دَاره وَأهلا خَيْرًا مِنْ أَهْلِهِ وَزَوْجًا خَيْرًا مِنْ زَوْجِهِ وَأدْخلهُ الْجنَّة وأعذه من عَذَاب الْقَبْر وَمن عَذَاب النَّار» . وَفِي رِوَايَةٍ: «وَقِهِ فِتْنَةَ الْقَبْرِ وَعَذَابَ النَّارِ» قَالَ حَتَّى تَمَنَّيْتُ أَنْ أَكُونَ أَنَا ذَلِكَ الْمَيِّت. رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যা: আল্লামা শাওকানী (রহঃ) বলেন, এ জাতীয় হাদীসগুলো প্রমাণ করে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানাযার দু‘আ স্বশব্দে পাঠ করেছেন, (এবং স্বশব্দে পাঠ করাই মুস্তাহাব)। পক্ষান্তরে আরেকদল ‘আলিমের মত তার বিপরীত। তারা নীরবে পাঠকেই মুস্তাহাব মনে করেন। জোরে পড়ার হাদীসের ক্ষেত্রে তারা বলেন- এটা ছিল শিক্ষামূলক। তবে এ কথা সত্য যে, উভয় পদ্ধতিই বৈধ।

আখিরাতে তার উত্তম সঙ্গীর অর্থ হলো হুরে ‘ঈন (ডাগর ডাগর উজ্জ্বল সুন্দর চোখবিশিষ্টা সুন্দরী রমণীগণ)। অথবা দুনিয়ার স্ত্রীও হতে পারে, তার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) সিয়াম ইত্যাদির কারণে তার স্ত্রীও হুরে ‘ঈনের চেয়েও উত্তম হয়ে যাবেন। ইমাম সুয়ূতী বলেন, অধিকাংশ ফকীহের মতে এটা শুধু পুরুষের বেলায় প্রযোজ্য নারীর জন্য নয়। আল্লামা শামী বলেন, আহল এবং সঙ্গী পরিবর্তনের উদ্দেশ্য হলো সিফাত বা গুণাবলীর পরিবর্তন, জাত বা স্বত্ত্বার পরিবর্তন নয়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ