পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট যা বলতে হয়
১৬১৯-[৪] উম্মু সালামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আমার প্রথম স্বামী) আবূ সালামার কাছে আসলেন যখন তাঁর চোখ স্থির হয়ে গিয়েছিল। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) চোখগুলো বন্ধ করে দিলেন। তারপর বললেন, যখন রূহ কবয করা হয় তখন তার দৃষ্টিশক্তিও চলে যায়। আবূ সালামার পরিবার (এ কথা শুনে বুঝল, আবূ সালামাহ্ ইন্তিকাল করেছেন) কাঁদতে ও চিল্লাতে লাগল। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা তোমাদের মাইয়্যিতের জন্য কল্যাণের দু’আ করো। কারণ তোমরা ভাল মন্দ যে দু’আই করো (তা’ শুনে) মালাকগণ (ফেরেশতারা) ’আমীন’ বলে। তারপর তিনি এ দু’আ পাঠ করলেন,
’’আল্ল-হুম্মাগফির লিআবী সালামাহ্, ওয়ারফা’ দারাজাতাহূ ফিল মাহদীয়্যিন, ওয়াখলুফহু ফী ’আক্বিবিহী ফিল গ-বিরীন, ওয়াগফির লানা- ওয়ালাহূ ইয়া- রব্বাল ’আ-লামীন, ওয়া আফসিহ লাহূ ফী কবরিহী, ওয়ানাওয়ির লাহূ ফিহী’’
(অর্থাৎ হে আল্লাহ! আবূ সালামাকে মাফ করে দাও। হিদায়াতপ্রাপ্তদের মধ্যে তার মর্যাদা বাড়িয়ে দাও। তার ছেড়ে যাওয়া লোকদের জন্য তুমি সহায় হয়ে যাও। হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে ও তাকে মাফ করে দাও। তার কবরকে প্রশস্ত করে দাও। তার জন্য কবরকে নূরের আলোতে আলোকিত করে দাও।)। (মুসলিম)[1]
بَابُ مَا يُقَالُ عِنْدَ مَنْ حَضَرَهُ الْمَوْتُ
وَعَن أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ: دَخَلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى أبي سَلمَة قد شَقَّ بَصَرَهُ فَأَغْمَضَهُ ثُمَّ قَالَ: «إِنَّ الرُّوحَ إِذَا قُبِضَ تَبِعَهُ الْبَصَرُ» فَضَجَّ نَاسٌ مِنْ أَهْلِهِ فَقَالَ: «لَا تَدْعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ إِلَّا بِخَير فَإِن الْمَلَائِكَة يُؤمنُونَ على ماتقولون» ثُمَّ قَالَ: «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِأَبِي سَلَمَةَ وَارْفَعْ دَرَجَتَهُ فِي الْمَهْدِيِّينَ وَاخْلُفْهُ فِي عَقِبِهِ فِي الْغَابِرِينَ وَاغْفِرْ لَنَا وَلَهُ يَا رَبَّ الْعَالَمِينَ وَأَفْسِحْ لَهُ فِي قَبْرِهِ وَنَوِّرْ لَهُ فِيهِ» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: চোখ বন্ধ করার কারণ হল যখন রূহ শরীর হতে বের হয়ে যায় চক্ষু বের হয়ে যাওয়ার গন্তব্য পথকে অনুসরণ করে। সুতরাং চক্ষু খুলে থাকাতে কোন উপকার নেই। দ্বিতীয় কষ্টের কারণ বর্ণনা তথা মৃত ব্যক্তির নিকট জান কবযকারী মালাক (ফেরেশতা) আকৃতি নিয়ে তার সামনে আসে সে তার দিকে (ফেরেশতার দিকে) তাকিয়ে থাকে এবং চোখের পলকও ফেলে না শেষ পর্যন্ত রূহ পৃথক হয়ে যায় আর চোখের পাওয়ার নিঃশেষ হয়ে যায়। আর এ অবস্থায় চোখ অবশিষ্ট থাকে।
আর হাদীসে দলীল হিসেবে প্রমাণিত হয় যারা বলে যে, নিশ্চয় রূহ এর সূক্ষ্ম আকৃতি রয়েছে যা শরীরে বিশ্লেষিত এবং সে তা শরীক হতে বের হওয়ার ফলে জীবন চলে আয়। আর তা অন্য বস্ত্তর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত না যেমনটি অনেকে মনে করে। আরও দলীল প্রমাণিত হয় যে, মৃতুর সময় মৃত ব্যক্তির জন্য দু‘আ ও তার পরিবারের জন্য দুনিয়া আখিরাতের কল্যাণ চেয়ে দু‘আ করা। আর প্রমাণিত যে, ক্ববরে মৃত ব্যক্তি শাস্তিপ্রাপ্ত হবে।