পরিচ্ছেদঃ ৪০. সালাতুত্ তাসবীহ
১৩৩০-[২] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ কিয়ামতের (কিয়ামতের) দিন সব জিনিসের পূর্বে লোকের যে ’আমলের হিসাব হবে, তা হলো সালাত (সালাত/নামায/নামাজ)। যদি তার সালাত সঠিক হয় তাহলে সে সফলকাম হবে ও নাজাত পাবে। আর যদি সালাত বিনষ্ট হয়ে যায় তাহলে সে বিফল ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যদি ফরয সালাতে কিছু ভুল হয়ে যায়, তাহলে আল্লাহ তা’আলা মালায়িকাহ্-কে (ফেরেশতাগণকে) বলবেন, দেখো! আমার বান্দার নিকট সুন্নাত ও নফল সালাত আছে কি-না? তাহলে সেখান থেকে এনে বান্দার ফরয সালাতের ত্রুটি পূরণ করে দেয়া হবে। এরপর এ রকম বান্দার অন্যান্য হিসাব নেয়া হবে। অন্য এক বিবরণ এসেছে, তারপর এ রকম যাকাতের হিসাব নেয়া হবে। অতঃপর অবশিষ্ট সব ’আমলের হিসাব একের পর এক এ রকম নেয়া হবে। (আবূ দাঊদ)[1]
بَابُ صَلَاةِ التَّسْبِيْحِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِنَّ أَوَّلَ مَا يُحَاسَبُ بِهِ الْعَبْدُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عمله صلَاته فَإِن صلحت فقد أَفْلح وأنجح وَإِنْ فَسَدَتْ فَقَدْ خَابَ وَخَسِرَ فَإِنِ انْتَقَصَ مِنْ فَرِيضَتِهِ شَيْءٌ قَالَ الرَّبُّ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: نظرُوا هَلْ لِعَبْدِي مِنْ تَطَوُّعٍ؟ فَيُكَمَّلُ بِهَا مَا انْتَقَصَ مِنَ الْفَرِيضَةِ ثُمَّ يَكُونُ سَائِرُ عَمَلِهِ عَلَى ذَلِكَ . وَفِي رِوَايَةٍ: «ثُمَّ الزَّكَاةُ مِثْلَ ذَلِك ثمَّ تُؤْخَذ الْأَعْمَال حسب ذَلِك» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: অত্র হাদীসে সালাত দ্বারা উদ্দেশ্য ফরয সালাত। আল্লামা ‘ইরাক্বী (রহঃ) ‘শারহুত্ তিরমিযী’-তে বলেছেন যে, আলোচ্য হাদীস এবং অপর সহীহ হাদীস (ক্বিয়ামাত দিবসে প্রথম রক্তের বিচার করা হবে) এর মাঝে কোন বৈপরীত্য নেই, এ হাদীসটি আল্লাহ তা‘আলার হক সংক্রান্ত বিষয়ে আর অপর সহীহ হাদীসটি মানাবীয় হক বা মানুষের অধিকারের উপর বর্তাবে।
কেউ বলেছেন এ হাদীস ‘ইবাদাত বর্জনের ক্ষেত্রে আর অপর সহীহ হাদীস খারাপ কর্মের ক্ষেত্রে, কেউ বলেছেন হিসাব গ্রহণটা বিচার নয়, প্রথমে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) বিষয়ে হিসাব নেয়া হবে এবং প্রথম বিচার হবে রক্তের।