পরিচ্ছেদঃ ৩৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রমাযান মাসের ক্বিয়াম (তারাবীহ সালাত)
১৩০০-[৬] যায়দ ইবনু সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ মানুষ তার ঘরে ফরয সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ব্যতীত যে সালাত আদায় করবে তা এ মসজিদে সালাত আদায়ের চেয়ে ভাল। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী)[1]
وَعَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَلَاةُ الْمَرْءِ فِي بَيْتِهِ أَفْضَلُ مِنْ صَلَاتِهِ فِي مَسْجِدِي هَذَا إِلَّا الْمَكْتُوبَة» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীস প্রমাণ করে যে, নফল সালাতগুলো বাড়ীতে আদায় করাই মুস্তাহাব। নফল সালাত মসজিদে আদায় করার চেয়ে বাড়ীতে আদায় করাই উত্তম, যদিও মাসজিদগুলোর মাঝে তুলনামূলক শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে, যেমন মাসজিদুল হারাম, মাসজিদুন্ নাবাবী ও মাসজিদুল আক্বসা (আকসা)। যদি কেউ মসজিদে মদীনায় নফল সালাত আদায় করে, তবে হাজার সালাতের সাওয়াব অর্জন করবে। আর যদি বাড়ীতে আদায় করে তখন হাজার সালাতের চেয়ে তা উত্তম হবে। অনুরূপভাবে মাসজিদুল হারাম ও মসজিদে আক্বসা (আকসা)। তবে এ অধ্যায়ে যে সকল হাদীসে নফল সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ‘আমভাবে আলোচিত হয়েছে তার মধ্য থেকে কতকগুলো নফল সালাত আলাদা উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলো জামা‘আতে আদায় করার ব্যাপারে শার‘ঈ বিধান রয়েছে, যেমন দু’ ঈদের সালাত, ইস্তিস্ক্বার সালাত, সালাতুল কুসূফ বা চন্দ্র-সূর্য গ্রহণের সালাত, তারাবীহের সালাত এবং যেগুলো মসজিদের সাথে খাস যেমন ভ্রমণ থেকে আগমনের সালাত, তাহ্ইয়্যাতুল মাসজিদ।
তবে ফরয সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ব্যতীত এবং তা পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। পুরুষদের ওপর ফরয সালাতগুলো মসজিদে জামা‘আতবদ্ধভাবে আদায় করা ওয়াজিব। আর মহিলাদের জন্য তা বাড়ীতে পড়াই উত্তম, তা ফরয কিংবা নফল যাই হোক না কেন। তবে যদি তাদের জন্য মসজিদে উপস্থিত হওয়ার অনুমতি থাকে তবে তা অবশ্যই বৈধ।