পরিচ্ছেদঃ ৩৬. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - দু‘আ কুনূত
১২৯২-[৫] আবূ মালিক আল আশজা’ঈ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতার কাছে প্রশ্ন করেছিলাম, হে পিতা! আপনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আবূ বকর, ’উমার, ’উসমান, আর ’আলী (রাঃ)-এর পেছনে কুফায় প্রায় পাঁচ বছর পর্যন্ত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেছেন। এসব মর্যাদাবান ব্যক্তিগণ কি ’’দু’আ কুনূত’’ পড়তেন? তিনি জবাব দিলেন, হে আমার পুত্র! (দু’আ কুনূত পড়া) বিদ’আত। (তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনু মাজাহ)[1]
وَعَن أبي مَالك الْأَشْجَعِيّ قَالَ: قُلْتُ لِأَبِي: يَا أَبَتِ إِنَّكَ قَدْ صليت خَلْفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَبِي بكر وَعمر وَعُثْمَان وَعلي هَهُنَا بِالْكُوفَةِ نَحْوًا مِنْ خَمْسِ سِنِينَ أَكَانُوا يَقْنُتُونَ؟ قَالَ: أَيْ بُنَيَّ مُحْدَثٌ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْن مَاجَه
ব্যাখ্যা: ফরয অথবা ফাজ্র (ফজর) সালাতে, কুনূতে নাযিলাহ্-এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো সর্বদাই কুনূতে নাযিলার উপর অবিচল থাকা, সাধারণ বিতরের কুনূত উদ্দেশ্য নয়। সুতরাং এটা প্রমাণিত হয় যে, কুনূতে নাযিলাহ্ ছিল নির্দিষ্ট কিছু দিনের জন্য, এটি সর্বদা ‘আমল নয়। বায়হাক্বী (রহঃ) বলেন যে, ত্বারিক্ব ইবনু আশ্ইয়াম (মালিক আল আশ্জা‘ঈ (রাঃ)-এর বাবা) কুনূত মুখস্থ করেননি বিধায় এটি তার নিকট নতুন মনে হয়েছে। কাজেই কুনূত পড়ার হুকুম হলো যার মুখস্থ রয়েছে সে পড়বে যার মুখস্থ নেই সে পড়বে না। (বায়হাক্বী- ২য় খন্ড, ২১৩ পৃঃ)
তিনি ছাড়া অন্য মুহাক্কিক্বগণ বলেছেন যে, এটা এ বিষয়ে দলীল নয় যে, সাহাবীগণ কুনূত পড়েননি। বরং ত্বারিক্ব ইবনু আশ্ইয়াম (রাঃ) সহাবায়ে কিরামগণের সাথে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করেছেন যতটুকু তিনি দেখেছেন, ততটুকুই গ্রহণ করেছেন। (হয়ত তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কুনূত পড়তে দেখেননি)